নন্দন দত্ত, সিউড়ি: পঞ্চায়েত অফিস খুলে রাখার সরকারি নির্দেশ ছিল। কিন্তু বিজেপি ডাকা বনধের দিনে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে পারেননি কর্মীরা। কারণ অফিসের চাবি আনেননি উপপ্রধান! বীরভূমের মল্লারপুর ১ নংব পঞ্চায়তটি বিজেপি দখলে।বৃহস্পতিবার উপপ্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর করলেন বিডিও।
বুধবার ছিল ইসলামপুরে ছাত্র মৃত্যুর প্রতিবাদে বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টার বাংলা বনধ। বনধে বন্ধ ছিল বিজেপি পরিচালিত মল্লারপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত। দুপুর পর্যন্ত পঞ্চায়েতের গেটের চাবি না পেয়ে কর্মীরা হাজির হন ময়ূরেশ্বর এক নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে। এরপর বিডিও অফিসের লোক গিয়ে চাবি সংগ্রহ করে। পঞ্চায়েত অফিসের তালা খুলতে খুলতে বেলা গড়িয়ে যায়। বিডিও গোরাচাঁদ বর্মন বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ে অফিসের কর্মীরা হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু উপপ্রধান তাঁদের চাবি দেননি। ফলে দুপুর পর্যন্ত কেউ পঞ্চায়েতে ঢুকতে পারেননি। মল্লারপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।’
এই অভিয়োগের মধ্যে রাজনৈতিক কারণ দেখছেন উপপ্রধান সমীর লোহার। তিনি বলেন, ‘আমরা বিজেপি করি। তাই রাজনৈতিক কারণেই বিডিওকে দিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করানো হয়েছে। চাবি অন্যান্য দিন যেখানে থাকে সেখানেই ছিল। চাবি কোথাও সরিয়ে রাখা হয়নি। সরিয়ে রাখলে পরে পঞ্চায়েত খোলা হল কীভাবে।’ বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরাই বনধের ডাক দিয়েছিলাম। ফলে আমরা তো পঞ্চায়েত খুলতে যাব না। পঞ্চায়েত খোলার দায়িত্ব ছিল পুলিশের। অন্যান্য জায়গায় সক্রিয় হয়ে যেভাবে পুলিশ অফিস খুলেছে সেভাবেই পঞ্চায়েত খুলতে পারত। এসব রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হচ্ছে। আইনের পথেই লড়াই হবে।’
ছবি: সুশান্ত পাল
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.