Advertisement
Advertisement

Breaking News

কলেজে বৈঠক চলাকালীন লাইব্রেরিয়ানকে মেঝেতে ফেলে মার অধ্যাপিকার

সিউ়ড়ির সরকারি পলিটেকনিক কলেজের ঘটনা৷

Birbhum: A professor allegedly beats libarian in College meeting
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 20, 2018 3:33 pm
  • Updated:May 20, 2018 3:33 pm  

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: তাঁর অভিযোগের নিষ্পত্তি করতেই বৈঠক ডেকেছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ৷ কিন্তু, বৈঠকে মেজাজ হারালেন খোদ অভিযোগকারী অধ্যাপিকাই৷ অভিযোগ, বৈঠক চলাকালীন কলেজের গ্রন্থাগারিককে মেঝেতে ফেলে পিটিয়েছেন তিনি৷ ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ির রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ পলিটেকনিক কলেজে৷ সূত্রের খবর, সিউড়ি থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন অধ্যক্ষ৷ অভিযুক্ত অধ্যাপিকাও আবার লিখিতভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন়৷ যদিও প্রকাশ্যে গ্রন্থাগারিককে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি৷

[পিকআপ ভ্যানে পচা মাংস ও ডিম পাচারের চেষ্টা, ধুন্ধুমার মেদিনীপুর শহরে]

Advertisement

সিউড়ির রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ পলিটেকনিক কলেজটি সরকারি৷ কলেজের ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মিঠু মুখোপাধ্যায়৷ জানা গিয়ে্ছে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে? তা নিয়ে কথা বলতে অধ্যক্ষ মণীন্দ্রনাথ পাত্রের কাছে গিয়েছিলেন অধ্যাপকরা৷ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপিকা মিঠু মুখোপাধ্যায়৷ কলেজের অধ্যাপকদের দাবি, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব নিতে আগ্রহী মিঠুদেবী৷ যদিও সেদিন তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি৷ কিন্তু, ওই অধ্যাপিকার ধারণা হয়, বৈঠকে তাঁকে অপমান করা হয়েছে৷ অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান৷ সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে শনিবার ফের কলেজের অধ্যাপক ও অশিক্ষক কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন অধ্যক্ষ মণীন্দ্রনাথ পাত্র৷ অধ্যাপকদের অভিযোগ, বৈঠক চলাকালীন বারবারই বাধা দিচ্ছিলেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিভাগের ওই মহিলা অধ্যাপক৷ একসময়ে গ্রন্থগারিক পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় তাঁকে বলেন, ‘আপনার অভিযোগ নিয়েই তো আলোচনা হচ্ছে৷ বাধা দিচ্ছেন কেন?’ এরপরই আর মেজাজ ঠিক রাখতে পারেননি অধ্যাপিকা মিঠু মুখোপাধ্যায়৷ অভিযোগ, বৈঠক চলাকালীনই কলেজের গ্রন্থাগারিককে মেঝে ফেলে বেধড়ক মারধর করেন তিনি৷ সিউড়ি থানায় কলেজের অধ্যক্ষ মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে খবর৷

[সাতসকালে চায়ের দোকানে ঢুকে পড়ল বেপরোয়া বাস, মৃত ২]

এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে অভিযুক্ত অধ্যাপিকা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ যদিও প্রকাশ্যে অবশ্য গ্রন্থাগারিককে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিঠু মুখোপাধ্যায়৷ তাঁর দাবি, বৈঠক চলাকালীন উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি৷ গ্রন্থাগারিকের সঙ্গে বাদানুবাদও হয় তাঁর৷ তবে মারধর করেননি৷

ছবি: বাসুদেব ঘোষ

[পদ্মশ্রী করিমুলের বাড়িতে মেডিক্যাল ক্যাম্প, বিনামূল্যে চিকিৎসা গ্রামবাসীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement