স্টাফ রিপোর্টার: একনজরে অনেকটা যেন ধেড়ে ইঁদুর! কিন্তু আসলে হরিণের আরেক প্রজাতি। গায়ে নকশাকাটা পুঁচকে এই হরিণের পোশাকি নাম ‘মাউস ডিয়ার’। সাত বছরের মাথায় আলিপুর চিড়িয়াখানায় এবার ভরা বর্ষার অতিথি এই ‘অন্য হরিণ’। একটি নয়, ওড়িশার নন্দনকানন চিড়িয়াখানা থেকে আলিপুরে এসেছে দুজোড়া মাউস ডিয়ার। বৃহস্পতিবার চিড়িয়াখানায় হাজির বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদারও নজর কেড়েছে এই খুদে একরত্তি হরিণগুলো। মন কেড়ে নেওয়ায় এই চারটি ‘মাউস ডিয়ার’ই দত্তক নিচ্ছেন বীরবাহা। মা, ভাই, ভ্রাতৃবধু ও বোনের নামে এদিনই এই চারটি হরিণছানার নামকরণও করেন তিনি।
বীরবাহা জানান, দত্তক নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করতে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। কাগজপত্র তৈরি হয়ে গেলেই চারটি ‘মাউস ডিয়ার’কে দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া সেরে ফেলবেন বনমন্ত্রী। চিড়িয়াখানায় এবার বর্ষার অতিথি একাধিক। দুজোড়া মাউস ডিয়ার ছাড়া বুধবার এসে পৌঁছয় একজোড়া সিংহ, একটি বাঘিনি এবং হিমালয়ের দুটি কালো স্ত্রী-ভল্লুক। ওড়িশার নন্দনকানন চিড়িযাখানা থেকে মঙ্গলবার রওনা করানো হয় আলিপুরের এই অতিথিদের।
চিড়িয়াখানার অধির্কতা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত জানান, এখানকার আবহাওয়া ও পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য আপাতত এই অতিথিদের কোয়ারান্টাইনে রাখা হচ্ছে। কয়েকদিন পর নির্দিষ্ট এনক্লোজারে ছাড়া হবে। এদিন চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখার ফাঁকে নতুন অতিথি এই বাঘ, সিংহ, ভল্লুকদের খোঁজ নেন বনমন্ত্রী। তাদের খাওয়াদাওয়া ও চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যবস্থার খুঁটিনাটিও জেনে নেন। এর আগে ২০১৭ সালের পর শেষবার হায়দরাবাদ চিড়িয়াখানা থেকে মাউস ডিয়ার আনা হয়েছিল আলিপুরে। চিড়িয়াখানার অধিকর্তা জানিয়েছেন, নন্দনকানন চিড়িয়াখানা থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে এই বাঘ, সিংহ, ভল্লুক ও মাউস ডিয়ার আনা হয়েছে। বিনিময়ে আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে নন্দনকাননে পাঠানো হয়েছে গোসাপ ও গিরগিটি জাতীয় দুটি সরীসৃপ এবং একটি ‘স্পুনবিল’ পাখি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.