ছবি: প্রতীম মৈত্র।
সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ধরনায় রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত থেকে শোরগোল হাসপাতালে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান হাসপাতালের সুপার গৌতমেশ্বর মজুমদার, হাসপাতালের সহকারি সুপার স্নেহাশিষ পাত্র-সহ অন্যান্যরা।
সোমবার বিকেল থেকেই ঝড়-বৃষ্টি চলছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। প্রবল ঝড়ে বহু মানুষ আহত হয়েছেন, ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি-ঘর। সোমবার বিকেলে ঝড় থামার পর লালগড়ে যান রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। জখম ব্যক্তিদের প্রথমে লালগড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন। আহতদের মধ্যেই ছিলেন মৌলী মুর্মু নামে এক মহিলা। তাকে লালগড় থেকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকেরা। মৌলীর পরিবারের সঙ্গে মন্ত্রীও যান ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে। জরুরি বিভাগে জখম রোগীকে দেখানো থেকে শুরু করে এক্স-রে সবকিছু তদারকি করেন মন্ত্রী। তারপর মৌলীকে সার্জারি বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে ডিউটি করছিলেন সার্জারি চিকিৎসক সৈকত রানা। চিকিৎসক জখম মহিলার কী হয়েছে জানতে চান। অভিযোগ, মহিলার ছেলে বৈদ্যনাথ মুর্মু সমস্যার কথা বলতে চিকিৎসকের সামনে যেতেই তিনি দুর্ব্যবহার করেন।
হাসতাপালে রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসকের ব্যবহার নিজের চোখে দাঁড়িয়ে দেখেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তারপর মন্ত্রী চিকিৎসককে প্রশ্ন করেন,”আপনার নাম কি?” চিকিৎসক বলেন, “আপনাকে চিনি না। জানি না। নাম কেন বলব?” মন্ত্রীর অভিযোগ, বেশ কিছু অপমানজনক কথা বলেন ওই চিকিৎসক। এই ঘটনার প্রতিবাদেই ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সিঁড়িতে বসে পড়েন মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যান ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার গৌতমেশ্বর মজুমদার, হাসপাতালের সহকারি সুপার স্নেহাশিষ পাত্র। দীর্ঘক্ষণ পর ঘটনাস্থল থেকে ওঠেন মন্ত্রী।
হাসপাতাল ছাড়ার আগে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন,”হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে যা শুনেছি আজকে নিজের চোখে দেখলাম উনাদের ব্যবহার রোগীর পরিবারের সঙ্গে। চিকিৎসককে আমরা ভগবানের চোখে দেখি। চিকিৎসকের এরকম ব্যবহারে আমি অবাক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.