Advertisement
Advertisement
সেনাপ্রধান

যুদ্ধের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে পানাগড়ে ‘ব্রহ্মাস্ত্র সেনা’ পরিদর্শনে সেনাপ্রধান

প্রয়োজনে চিনের সীমান্তে গিয়ে শত্রুদের সঙ্গে লড়াই করতে পারে এই পার্বত্য সেনা।

Bipin Rawat reviews operational preparedness of Brahmastra Corps
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 10, 2019 11:18 am
  • Updated:May 10, 2019 11:18 am  

অর্ণব আইচ: পানাগড়ে ব্রহ্মাস্ত্র সেনার প্রস্তুতি দেখে খুশি দেশের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। প্রয়োজনে চিনের সীমান্তে গিয়ে শত্রুদের সঙ্গে লড়াই করতে পারে এই পার্বত্য সেনা।

সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ব্রহ্মাস্ত্র কর্পস নামে এই পার্বত্য সেনাদের ঘাঁটি পরিদর্শন করেন সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি-ইন-সি লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম এম নারাভান। গত মার্চেই পানাগড়ে চলে এসেছে ব্রহ্মাস্ত্র সেনা। এদিন সেনাপ্রধান পুরো সেনাঘাঁটি পরিদর্শন করে সেনাকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেন। তাঁরা কতটা তৈরি, তা খতিয়ে দেখেন। প্রয়োজনে খুব তাড়াতাড়ি যাতে কীভাবে তাঁরা চিনের সীমান্তে পৌঁছাতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখেন তিনি। যেভাবে ব্রহ্মাস্ত্র সেনারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, তাতে সেনাপ্রধান খুশি হয়েছেন বলে জানিয়েছে সেনাবাহিন।

Advertisement

পানাগড়ে বায়ুসেনা ঘাঁটির অদূরেই সেনা শিবির। সেই সেনা শিবিরে তৈরি হয়েছে পার্বত্য সেনা ‘ব্রহ্মাস্ত্র কর্পস’-এর ঘাঁটি। হিমালয়ের প্রত্যন্ত প্রান্তরে, সীমান্তে দাঁড়িয়ে শত্রুর মুখোমুখি হয়ে যুদ্ধে পারদর্শী এই বাহিনী। যেখানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে দিন দুই আগেই বায়ুসেনা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে এবং যেখানে পাক বিমানকে গুলি করে নামিয়ে ফেলেছে ভারতীয় বাহিনী, সেখানে এদিন সেনা কমান্ডারের এই নির্দেশ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সেনা আধিকারিকরা।

সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণত চিনের সীমান্তে শত্রুদের মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে এই সেনাবাহিনীকে। কিন্তু প্রয়োজনে পাকিস্তানের সীমান্তেও নিয়ে যাওয়া হতে পারে ব্রহ্মাস্ত্র বাহিনীকে। রুক্ষ পাহাড় থেকে শুরু করে ‘হাই অলটিচিউড’ বা উঁচু জায়গা, যে কোনও এলাকা থেকে সহজে শত্রুর মোকাবিলা করতে পারে এই বাহিনী। ইতিমধ্যে এই বাহিনীর জন্য বিশেষ অস্ত্রাগারও তৈরি হয়েছে। পর্বতে যুদ্ধের জন্য তাদের সেই অস্ত্র নিয়ে অনুশীলনও করতে হয়। এক সেনা কর্তা জানান, ব্রহ্মাস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত রাখতে প্রতিনিয়ত তাঁদের প্রশিক্ষণ ও মহড়া চলছে। এদিকে, পানাগড়ে এই সেনাঘাঁটির অদূরেই রয়েছে বায়ুসেনার ঘাঁটি। সেখানে ‘সুপার হারকিউলিস’-এর মাধ্যমে চলছে কমান্ডোদের মহড়া। বার্তা পেলে যাতে সঙ্গে সঙ্গে ব্রহ্মাস্ত্র সেনাকে নিয়ে হারকিউলিস পার্বত্য সীমান্তের দিকে রওনা হতে পারে, সেই ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

[৭৪০ কোম্পানি বাহিনী ষষ্ঠ দফার ভোটে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement