তরুণকান্তি দাস: ‘থ্রি ইডিয়ট’ সিনেমার ফুংসুক ওয়াংড়ুকে মনে পড়ে? অন্যের নাম ভাঙিয়ে যিনি ইঞ্জেনিয়ারিং পড়তে গিয়েছিলেন৷ প্রথম হয়েছিলেন৷ কিন্তু কলেজের কেউ জানত না তাঁর আসল পরিচয়৷ সেটা ছিল সাফল্যের গাথা৷ তেমনই একটি ঘটনা উঠে এসেছে এই রাজ্য থেকে৷ তবে এই ঘটনা ব্যর্থাতকে আড়াল করে নিজের সাফল্য জাহির করতে জালিয়াতির৷ মিথ্যাচারের৷ এবং চরিত্রটি অতি আলোচিত৷ দার্জিলিংয়ের একদা অবিসংবাদী নেতা বিমল গুরুংয়ের মেয়ের৷ যিনি একটি স্কুলে ভরতি হয়েছিলেন অন্নপূর্ণা নামে৷ যিনি আইসিএসসি বোর্ডের দশম শ্রেণিতে ফেল করে, নাম ভারিয়ে ভরতি হলেন অন্য স্কুলে৷
[বেহাল আবহাওয়া, দিঘা সফর বাতিল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে অনেকদিন আগেই৷ জানা গিয়েছে, পাতলেবাসে বিমল গুরুংয়ের যে বাড়ি রয়েছে তার কাছেই মাউন্ট হরমোন স্কুলে পড়াশোনা করত তার মেয়ে অন্নপূর্ণা গুরুং৷ পাতলেবাস থেকে সিংমারি যাওয়ার পথেই পড়ে এই স্কুলটি৷ এই স্কুল থেকেই আইসিএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল সে৷ কিন্তু পাশ করতে পারেনি৷ ফলে তখনই সে বেছে নিয়েছিল জালিয়াতির পথ৷ কী করেছিল অন্নপূর্ণা? নেপাল থেকে একই স্কুলে পড়তে এসেছিল নন্দা গুরুং নামে এক ছাত্রী৷ সেই ছাত্রীর পরিচয়পত্র নকল করে আইসিএসসি-র জাল রেজাল্ট তৈরি করে সে৷ তারপর সেই রেজাল্ট ব্যবহার করেই পরবর্তী পড়াশোনা চালায়৷ পড়তে শুরু করে আইনবিদ্যা৷ এখন শিক্ষানবিশ হিসাবে কাজও করছে সে৷ এই ঘটনা সামনে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন৷ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তদন্তের৷ অভিযোগ জানান হয়েছে, আইসিএসসি বোর্ডেও৷
[ঘুষকাণ্ডে ৩ বছরের জেল, ১ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেলেন সুভাষ ভৌমিক]
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শান্ত হয়েছে উত্তপ্ত পাহাড়৷ সেখানে কার্যত জমি হারিয়েছে বিমল গুরুং ও তার সাগরেদরা৷ তবে এখনও মাঝে মাঝে গোপন ডেরা থেকে অডিও বার্তায় হুমকি দিয়ে থাকে। এখন নখদন্তহীন সিংহে পরিণত হয়েছে পাহাড়ের এক সময়ের স্বঘোষিত ‘ডন’৷ গত ১৭ জুনই অডিও বার্তায় সে বলে, ‘এক বিমল গুরুংয়ের প্রাণ গেলে পরোয়া নেই। পাহাড়ের ঘরে ঘরে আরও গুরুং জন্ম নেবে।’ অনেকে মনে করেছেন এর মাধ্যমে পাহাড় সমস্যাকে আবারও উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে প্রাক্তন মোর্চা প্রধান৷ তবে বারংবার পাহাড়ে গিয়ে ও পাহাড়ের উন্নয়নে ঢালাও অর্থ বরাদ্দ করে মুখ্যমন্ত্রীও বুঝিয়ে দিয়েছেন, পাহাড় তাঁর কতটা কাছের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.