সঞ্জীব মণ্ডল, শিলিগুড়ি: রাজত্ব গিয়েছে, রাজপাঠ গিয়েছে, কিন্তু রাজার মেজাজ যায়নি বিমল গুরুংয়ের। মাস ছয়েকেরও বেশি সময় দার্জিলিংয়ে তাঁকে দেখা যায়নি। দেশদ্রোহের মামলায় অভিযুক্ত গুরুং এরাজ্যে পা রাখলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে রাজ্য পুলিশ। এই ৬ মাসে আমূল পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে দার্জিলিংয়েরও। গুরুংয়ের ছেড়ে যাওয়ার সিংহাসন এখন দখল করে ফেলেছেন বিনয় তামাং। দল এবং জিটিএ দুই জায়গাতেই পদচ্যুত হয়েছেন বিমল গুরুং। অন্তত বিনয় তামাং শিবিরের এমনটাই দাবি। সে যাই হোক, গুরুং কিন্তু যথারীতি নিজেকে মোর্চা প্রেসিডেন্ট হিসেবেই দাবি করছেন। এখনও তিনি চিঠি বা প্রেস বিবৃতি লিখছেন মোর্চা প্রেসিডেন্টের প্যাডেই। মোর্চার প্রেসিডেন্ট হিসেবেই অসমের এনআরসি প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখলেন গুরুং।
একটি প্রেস বিবৃতিতে গুরুং দার্জিলিংয় তথা ডুয়ার্সের মাটিতে বেআইনি বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রেস বিবৃতিতে তিনি বলেন, অসম থেকে বিতড়িত বেআইনি বাংলাদেশিরা তরাই, ডুয়ার্স-সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় প্রবেশ করার ছক কষছে। অসম সরকারও বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের বাংলায় তথা দার্জিলিংয়ে ঢুকিয়ে দেওয়ার ছক কষছে গোপনে। এর ফলে দার্জিলিংয়ের ভূমিপুত্র গোর্খা থেকে আদিবাদী কামতাপুরী এবং মেচে উপজাতির লোকেরা সমস্যায় পড়তে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন একসময়ের পাহাড়ের দাপুটে নেতা। গুরুংয়ের অভিযোগ, অসম সরকার আদিবাসী তথা গোর্খাদের কথা না ভেবে বাংলাদেশীদের তরাই-ডুয়ার্স অঞ্চলে পাঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। গোর্খাদের সঙ্গে এ ধরনের ষড়যন্ত্র করা হলে তিনি চুপ করে বসে থাকবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিমল গুরুং।
পাহাড়ে আন্দোলন স্তিমিত হয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন খবরে ছিলেন না গুরুং। অসমের এনআরসি তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর নতুন করে সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। অনেকে বলছেন এনআরসিকে হাতিয়ার করে নতুন করে সংবাদ শিরোনামে আসতে চাইছেন বিমল গুরুং।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.