ফাইল ছবি।
গৌতম ব্রহ্ম: বিলকিস বানো মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নতুন রায় নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শীর্ষ আদাতের কড়া পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানালেন তিনি। মমতার কথায়, “বিলকিস বানো মামলায় এরকম কঠোর পর্যবেক্ষণের জন্য সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ।”
সুপ্রিম রায় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গুজরাট সরকারকে তুলোধোনা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “বিলকিস বানো ধর্ষণ মামলার দোষীরা শাস্তি পাওয়ার বদলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। তারা ক্ষমতা ভোগ করছিল। তাদের এই মুক্তি মেনে নেওয়া যায় না। সুপ্রিম কোর্টের এই কড়া পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানাচ্ছি। শীর্ষ আদালতের রায় প্রশংসাযোগ্য।” এদিন সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে। বলা হয়েছে, তথ্য গোপন করেছিল গুজরাট সরকার। এ প্রসঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “এরকম একটা মামলা সামনে এসেছে। কিন্তু এরকম আরও কত ঘটনা রয়েছে!” এ নিয়ে বলতে গিয়ে সাক্ষী মালিক-সহ মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্তা প্রসঙ্গও টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “সাক্ষী মালিকরা কি সুবিচার পেয়েছেন! বদলে অভিযুক্তকে কুস্তি ফেডারেশনের মাথায় বসানো হয়েছে। আমরা সবাই জানি, দেশজুড়ে কী চলছে!”
প্রসঙ্গত, বিলকিস বানো মামলায় (Bilkis Bano Case) সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে বড় ধাক্কা খেল বিজেপি শাসিত গুজরাট সরকার (Gujarat Government) তথা গেরুয়া শিবির। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার আইনি এক্তিয়ারই নেই গুজরাট সরকারের। আদালতের মতে, এক্ষেত্রে ক্ষমতার দখলদারি তথা অপব্যবহার হয়েছে। বিচারপতিরা আরও বলেন, বিলকিসের মামলা এবং সাজা ঘোষণা হয়েছিল মহারাষ্ট্রে। সেক্ষেত্রে অপরাধীদের মুক্তি দেওয়ার এক্তিয়ার রয়েছে কেবল মহারাষ্ট্র সরকারের। শুনানি শেষে আদালতের তরফে আরও বলা হয়, দোষীদের কারাগারের বাইরে থাকার অনুমতি দেওয়া ‘অবৈধ আদেশ’কে বৈধতা দেওয়ার সমান।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে গোধরা হিংসার সময়ে অন্ত্বসত্ত্বা বিলকিসকে (Bilkis Bano) গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনের অভিযোগে ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট গুজরাট সরকারের নির্দেশে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.