Advertisement
Advertisement
দূষণ

আলিপুরদুয়ার দূষণে দায়ী ভুটানের শিল্পাঞ্চল,মামলায় কেন্দ্র-রাজ্যকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের

আদালতের নির্দেশে খুশি কোচবিহার হিমালয়ান নেচার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সদস্যরা৷

Bhutan based industries polluting Alipurduar, says report
Published by: Tanujit Das
  • Posted:July 8, 2019 5:43 pm
  • Updated:July 8, 2019 5:52 pm  

রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: ভুটানের পাশাখা শিল্পাঞ্চল থেকে দূষণ ছড়াচ্ছে ভারত-ভুটান সীমান্ত লাগোয়া আলিপুরদুয়ার জেলায়৷ এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ্য মামলায় কেন্দ্র ও রাজ্যকে নোটিস পাঠাল সর্বোচ্চ আদালত৷ সূত্রের খবর, সোমবার এই মামলার শুনানির সময় এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি৷ এরপরই জবাব চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদ্দেশ্যে নোটিস পাঠায় আদালত৷

[ আরও পড়ুন: টোকিওতে বাংলার পড়ানোর আমন্ত্রণ সিধো-কানহো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে]

Advertisement

কোচবিহার হিমালয়ান নেচার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকেএই জনস্বার্থ মামলা দাখিলকারী মহেন্দ্র থাপা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, পরিবেশ মন্ত্রক, বিদেশ মন্ত্রক এবং জাতীয় ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে নোটিস পাঠানো হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে৷ এবং শীর্ষ আদালতের নির্দেশে তাঁরা খুশি৷ তিনি আরও বলেন, “ভুটানের পাশাখা শিল্পাঞ্চল থেকে মারন কার্বাইড প্রতিদিন ভুটান লাগোয়া বিভিন্ন নদীর জলে মিশে দূষণ ছড়াচ্ছে। দূষণর জেরে রাঙামাটি চা বাগান লাগোয়া এলাকার মানুষজন নানা সমস্যায় পড়েছেন। এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন মানুষজন। নদীর মাছ মরে যাচ্ছে। চর্মরোগ হয়ে যাচ্ছে। আমি রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদে জানিয়েছি৷ কিন্তু কোন সুরাহা পাইনি। আমরা দীর্ঘদিন থেকে এই দূষণ নিয়ে প্রশাসনকে সতর্ক করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমাদের কথায় কর্ণপাত করছে না প্রশাসন।হিরোশিমা বিস্ফোরনে কার্বাইড কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর পাশাখায় বিষাক্ত কার্বাইডের কারখানা করা হয়েছে।  সেই কারনে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।”

[ আরও পড়ুন: পরকীয়া নিয়ে সন্দেহ, পেট্রাপোলে স্ত্রীর সামনেই গুলিতে আত্মঘাতী যুবক ]

জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের রাঙামাটি চা বাগানের ওপারে, একেবারে ভুটান সীমান্ত ঘেঁষে ভুটানের পাশাখা শিল্পাঞ্চল। এই শিল্পাঞ্চলে ৪৬টি শিল্পের ইউনিট রয়েছে। এখানে কার্বাইড, সিলিকন, কাচ, আয়রন, যা ব্যাপক দূষণ তৈরি করে, তা উৎপাদিত হয়। এই এলাকার দূষণ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে কোচবিহার হিমালয়ান নেচার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি। এই সোসাইটির সম্পাদক মহেন্দ্র থাপা। তাঁর অভিযোগ, সেখান থেকে বাসরা নদীর দূষিত জল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত জঙ্গলেও প্রবাহিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষও। কোনও সুরাহা না পেয়ে অবশেষে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন পরিবেশ প্রেমীরা৷ তাঁদের  আশা, শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করায় সমস্যা মিটবে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement