Advertisement
Advertisement
Bhangar power grid

প্রশাসনিক বৈঠকেও অধরা সমাধান সূত্র, ভাঙড়ে অব্যাহত পাওয়ার গ্রিড আন্দোলন

দ্রুত সমস্যা মিটবে আশ্বাস জেলা প্রশাসনের।

Bhangar power grid protest continues, no solution yet | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি।

Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 6, 2022 8:49 pm
  • Updated:July 6, 2022 8:49 pm  

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সরকারি চুক্তি অনুযায়ী দাবিপূরণ না হওয়ায় নতুন করে পাওয়ার গ্রিডের গেটে তালা লাগিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে জমি কমিটি। এই ঘটনার পরই তড়িঘড়ি জমি কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসে জেলা প্রশাসন। বুধবার বারুইপুরে মহকুমা শাসকের দপ্তরে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যদিও এদিন ওই বৈঠক ফলপ্রসু হয়নি বলে জানিয়েছে জমি কমিটি। ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিডের (Power Grid) গেটের সামনে যথারীতি অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জারি রেখেছে তারা।

এ বিষয়ে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, “চুক্তি অনুযায়ী যে কাজগুলো অসম্পূর্ণ রয়েছে বলে জমি কমিটি দাবি করছে, সেই বিষয়ে তাদের বক্তব্য শোনা হয়েছে। ওঁদের বকেয়া ২৫ লক্ষ টাকা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই হিমঘর তৈরির জন্য জমি কেনার কাজ শুরু হবে। এছাড়া ওদের দাবি মত অন্যান্য ইস্যু গুলির দ্রুত সমাধান করা হবে।” এ বিষয়ে জমি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান বলেন, “এর আগে অনেকবারই আলোচনায় বসে শুধু প্রতিশ্রুতি শুনেছি। চুক্তি অনুযায়ী যতক্ষণ না পর্যন্ত হিমঘর-সহ অন্যান্য কাজের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। পাওয়ার গ্রিডের গেটে তালা লাগানো থাকবে। কেবলমাত্র ওদের নিরাপত্তারক্ষীদের যাতায়াতের জন্য ছোট গেট খুলে রাখা হবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘লুকিয়ে ফোন করেন রাজ্যপাল, দেখা করতে চান’, ধনকড়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সুদীপ]

ভাঙড়-২ (Bhangar) ব্লকের পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুনহাট এলাকায় পিজিসিএল বিদ্যুৎ সংবহন লাইনের জন্য পাওয়ার গ্রিড তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। ওই সময় থেকেই প্রকল্পের বিরোধিতা করে এবং চাষিদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। এই নিয়ে অশান্ত হয়ে ওঠে এলাকা। সেই সময় প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেন এলাকার চাষি ও জমি কমিটি। দ্রুত ওই প্রকল্পের কাজ শুরু করতে ২০১৮ সালে এক সরকারি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই সময় চুক্তি অনুযায়ী ঠিক হয়েছিল, চাষিদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, এলাকায় হিমঘর নির্মাণ,স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়ন, আন্দোলনকারীদের উপর থেকে ফৌজদারি মামলা তুলে নেওয়া হবে। জমি কমিটির দাবি, সরকারি ওই চুক্তি অনুযায়ী অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন হয়নি। প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে পুনরায় ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিডের গেটে তালা লাগিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে কমিটি। ফলে নতুন করে আবার শুরু হয়েছে সমস্যা। এদিন ওই সমস্যার দ্রুত সমাধান করতেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমি কমিটির সঙ্গে তড়িঘড়ি আলোচনায় বসা হয়।

যদিও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে চুক্তি অনুযায়ী অধিকাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। জমি কমিটির দাবি মত চুক্তি অনুযায়ী বকেয়া ২৫ লক্ষ টাকা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আগেই ক্ষতিপূরণের ১২ কোটি টাকার মধ্যে ১১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ৭৭ টি ফৌজদারি মামলার মধ্যে ৬৯ টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। বাকি আটটি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়ন হয়েছে। হিমঘর তৈরির জন্য ৩৬ জন জমি মালিকের কাছ থেকে ১.৫৬ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। জমি কেনার জন্য প্রথমে ১ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তা সংশোধন বরাদ্দ ধরা হয় ২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যে ওই টাকা অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে হিমঘর তৈরির জন্য জমি কেনার কাজ শুরু হবে।

[আরও পড়ুন: ‘আমি কালীর উপাসক, কাউকে ভয় করি না’, পোস্টার বিতর্কে বিজেপিকে জবাব মহুয়ার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement