চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: একদিকে ফণী আতঙ্কে ভুগছিল দক্ষিণবঙ্গবাসী৷ আরেকদিকে আকাশে ঘনিয়ে আসছিল কালো মেঘে৷ চোখ রাঙাচ্ছিল পরিবেশ৷ তখনই প্রকৃতির আরও ভয়াল রূপ দেখলেন আসানসোলের জামুরিয়ার মানুষজন৷ এতদিন যে দৃশ্য তাঁরা টেলিভিশন বা সিনেমার পর্দায় দেখে এসেছেন, শুক্রবার সকালে সেটাই প্রত্যক্ষ করলেন নিজেদের এলাকায়৷ যে টর্নেডোর নাম শুনেই ভয়ে সিঁটিয়ে যান আমেরিকাবাসী, এদিন সেই ভয়ঙ্কর ঝড়েরই একটি সংক্ষিপ্ত রূপ দেখলেন জামুরিয়ার মানুষজন৷
[ আরও পড়ুন: ভোটের সময় আঙুলে কালি লাগানোর নিয়মে বড়সড় বদল আনল কমিশন ]
জানা গিয়েছে, এদিন বিকালে হঠাৎই আকাশে কালো মেঘের কুণ্ডলী দেখতে পান সেখানকার বাসিন্দার৷ প্রথমে তাঁরা ভেবেছিলেন ফণীর প্রভাবে আকাশে জমাট বেঁধেছে মেঘ৷ কিন্তু পরে তাঁদের ভুল ভাঙে৷ তাঁরা দেখেন, আকাশ থেকে মাটি পর্যন্ত মেঘ ও ধুলোর কুণ্ডলী পাক খেতে খেতে ধোঁয়ার মতো প্রবল গতিতে এগিয়ে আসছে টর্নেডো৷ জামুরিয়ার আকলপুল থেকে বৈজয়ন্তীপুরের দিকে অভিমুখ ছিল টর্নেডোর৷ ঘটনায় স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়৷ এর প্রভাবে জামুরিয়াতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৪০ টি বাড়ি৷ শ্রীপুর এলাকায় ৩৯টি বাড়ির চাল উড়ে যায়৷ জামুরিয়ার এবি পিট কোলিয়ারি এলাকায় আরও ১০টি বাড়ির ব্যপক ক্ষতি হয়৷ কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে যায় এলাকার একটি দুর্গা মন্দির৷ প্রশাসনের তৎপরতায় টর্নেডোর প্রভাবে হতাহতের খবর নেই৷ আসানসোল পুরনিগমের পক্ষ থেকে একাধিক কমিউনিটি হলে স্থানান্তরিত করা হয় এলাকার মানুষদের৷ বিলি করা হয় ত্রিপল ও শুকনো খাবার৷ তবে মানুষের চোখে মুখে স্পষ্ট ছিল আতঙ্ক৷
[ আরও পড়ুন: আশঙ্কা থাকলেও প্রভাব পড়ল না ফণীর, স্বস্তিতে সু্ন্দরবনবাসী ]
এলাকার এক ব্যক্তি জানান, ‘‘একদিকে ফণীর আতঙ্ক তার সঙ্গে টর্নেডো৷ আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় রয়েছি, কিন্তু এমন দৃশ্য কোনওদিন দেখিনি৷’’ অন্যদিকে, গোটা রাজ্যের মতোই ফণীর প্রভাব পড়েছে আসানসোল ও পাশ্বর্বর্তী এলাকায়৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি৷ আশ্রয়হীন হয়েছেন বহু মানুষ৷ তবে প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টিতে দুর্ঘটনা অনেকটাই এড়ানো গিয়েছে বলে মত সাধারণ মানুষের৷
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.