Advertisement
Advertisement

Breaking News

Jiyaganj teacher murder case

জিয়াগঞ্জে সপরিবারে শিক্ষক খুনে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ, ‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে’, দাবি খুনির

২০১৯ সালে দশমীর দিন সপরিবারে খুন হন জিয়াগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষক।

Berhampur Fast Track Court awarded death sentence in Jiyaganj teacher murder case । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 24, 2023 8:00 pm
  • Updated:August 24, 2023 8:00 pm  

সাবিরুজ্জামান, লালবাগ: জিয়াগঞ্জে সপরিবারে প্রাথমিক শিক্ষক খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা ঘোষণা বহরমপুর ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের। এই ঘটনায় উৎপল বেহেরাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। যদিও উৎপলের দাবি, সে নির্দোষ। তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের কানাইগঞ্জ লেবুবাগানের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল। স্ত্রী বিউটি ও ছ’বছরের ছেলের সঙ্গে থাকতেন তিনি। ২০১৯ সালের ৮ অক্টোবর, দশমীর দুপুরে ওই ঘর থেকেই তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। সেই সময় বিউটি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে খবর। ঘটনার সাতদিন পর উৎপল বেহেরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: যাদবপুর কাণ্ডের মাঝে ফের অঘটন, দুর্গাপুরে হস্টেল থেকে উদ্ধার ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ]

তদন্তে জানা যায়, বিমার ২৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে সে। বারবার চাওয়ার পরেও টাকা ফেরত দিতে পারেনি উৎপল। পরিবর্তে দুর্ব্যবহার করে সে। এরপর সেবছরই ৫ অক্টোবর হাঁসুয়া কেনে। ধারাল অস্ত্র ব্যাগে ভরে জিয়াগঞ্জের রাস্তায় বন্ধুপ্রকাশের খোঁজে ঘুরে বেড়ায় উৎপল। তবে তাঁর দেখা না পেয়ে ওই প্রাথমিক শিক্ষকের বাড়িতে পৌঁছয় সে। এরপরই ঘটে সপরিবারে প্রাথমিক শিক্ষককে খুন করে উৎপল।

এই মামলায় মোট ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। খুনে ব্যবহৃত হাঁসুয়াতেও উৎপলের হাতের ছাপ পাওয়া যায়। দেশে প্রথম ইলেকট্রনিক প্রমাণ পেশে বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার করেন তদন্তকারীরা। যার ভিত্তিতে প্রায় চার বছর পর গত বুধবার উৎপল বেহেরাকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। বৃহস্পতিবার দোষীকে ফাঁসির সাজা দেন। দোষীর কঠোর শাস্তি হওয়ায় খুশি নিহত বন্ধুপ্রকাশের মা।

[আরও পড়ুন: ‘কিছু ভাল লাগছে না’, বাবাকে মনখারাপের কথা জানিয়ে ‘আত্মঘাতী’ এসএসকেএমের নার্সিং পড়ুয়া]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement