সৌরভ মাজি, বর্ধমান: গুজরাটের সুরাটে কাজে গিয়ে খুন হলেন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের এক যুবক। সাইকেল নিয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর হামলা করে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। ময়নাতদন্তে হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।
[ ফের অসমে দুই বাঙালি খুন, কাটা পড়ল আরও দু’জনের হাত]
পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের সাহাপুরে গ্রামে বাড়ি সামসুদ্দিন আলি শেখের। বছর আটেক আগে গুজরাটের সুরাটের একটি কারখানায় কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। সুরাটের ওই কারখানায়ই কাজ করেন সামসুদ্দিনের ভাই শেখ রফিক আলিও। তিনি জানিয়েছেন, রোজকার মতোই বুধবার ভোরে সাইকেলে চেপে কাজে বেরিয়েছিলেন সামসুদ্দিন। আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। স্থানীয় সোমাকাঞ্জি এলাকার রাস্তার পাশে সামসুদ্দিনের রক্তাক্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে সাইকেলটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিয়মমাফিক মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সামসুদ্দিনের জামার পকেট থেকে একটি বিলের সূত্রে ধরে তাঁর ভাইকে খবর দেয় সুরাটের পুলিশ। মৃতের ভাই শেখ রফিকের দাবি, কাজে যাওয়ার পথে সামসুদ্দিনের উপর চড়াও হয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। রীতিমতো রাস্তা ফেলে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়।
জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে বিয়ে হয়েছিল সামসুদ্দিন আলি শেখের। বর্ধমানের জামালপুরের বাড়িতে ৯ মাসের সন্তানকে নিয়ে থাকেন তাঁর স্ত্রী আঙ্গুরা বিবি। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে সুরাটে ভাড়া বাড়িতেই থাকতেন তিনি। সন্তানের জন্মের পর ফিরে আসেন জামালপুরে। আঙ্গুরা বিবির বক্তব্য, সুরাটে স্বামীর সঙ্গে যেখানে ভাড়া থাকতেন, সেখানকার কয়েকজন লোক তাঁকে উত্ত্যক্ত করত। প্রতিবাদ করায় সামসুদ্দিনকে একা পেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল তাঁরা। কিন্তু পরে অবশ্য আর কোনও সমস্যা হয়নি। শনিবার সামসুদ্দিন আলি শেখের মরদেহ নিয়ে আসা হয় জামালপুরের সাহাপুরে গ্রামের বাড়িতে। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকেরা।
ছবি: মুকুলেসুর রহমান
[ কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চরমে, ফের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.