Advertisement
Advertisement

Breaking News

Liluah

‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর খবরের জের, লিলুয়ায় রেলের ওয়ার্কশপে ফিরল বাংলা লেখা সাইনবোর্ড

বিভিন্ন মহলের লাগাতার আন্দোলনের মুখে পড়ে বাংলা ফেরানোর সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের।

Bengali signboard returns at Liluah rail workshop after heavy protests| Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 20, 2020 6:38 pm
  • Updated:November 20, 2020 6:39 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: নিজেদের ভুল স্বীকার করল রেল। লিলুয়ায় (Liluah) রেলের ওয়ার্কশপের সাইবোর্ডে আবারও জ্বলজ্বল করে উঠল বাংলা, যা গত মাসেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চাপে পড়ে বাংলা লেখা ফেরানো হল। তাতে ফের খুশির হাওয়া কর্মীমহলে।

গত মাসের গোড়ার দিকে লিলুয়ায় রেলের ওয়ার্কশপের সব সাইনবোর্ড থেকে বাংলা লেখা তুলে নেওয়া হয়। ওয়ার্কশপ গেট থেকে শুরু করে প্রতিটি বিভাগের বোর্ডগুলিকে একই রূপ দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের এহেন কাজে কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল। এই খবর প্রথম ‘সংবাদ প্রতিদিন’ ডিজিটালে প্রকাশিত হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সুজাপুরে স্থানীয়দের বাধার মুখে বিজেপি প্রতিনিধিরা, পুলিশের উপর দোষ চাপালেন দিলীপ]

তারপর বিভিন্ন মহলের প্রতিবাদ শুরু হয়। প্রতিবাদে ওয়ার্কশপে বিক্ষোভ দেখান কর্মী সংগঠন মেনস ইউনিয়ন। স্ট্যান্ডিং কমিটির (Standing Committee) প্রাক্তন চেয়ারম্যান বাসুদেব আচার্য এই ঘটনাকে চূড়ান্ত বেআইনি কাজ বলে বর্ণনা করেন। জানান রেলমন্ত্রীকে তিনি লিখিতভাবে প্রতিবাদ পাঠাবেন। এটা কেন্দ্রের সুপরিকল্পিত নীতি। এক ভাষা, এক জাতিতে বিশ্বাসী কেন্দ্র সরকার হিন্দিকে প্রাধান্য দিতে বেআইনি পদক্ষেপ করছেন। রাজ্যের মন্ত্রী লক্ষীরতন শুক্লাও রাজ্য থেকে বাংলা ভাষাকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত নিয়ে সরব হন। গেটসভা থেকে প্রতিবাদপত্র দেয় ‘বাংলা পক্ষ’ নামে সংগঠনটিও।

[আরও পড়ুন: ট্রেনে ‘ভুয়ো’ ফেরিওয়ালাদের দাপট, নিদান চাইছেন প্রকৃত হকাররা]

এসবের পর চাপে পড়ে ভুল স্বীকার করে নেন চিফ ওয়ার্কশপ ম্যানেজার। বিষয়টি তিনি জানতেন না বলে স্বীকার করে নেন। লাগাতার আন্দোলনের চাপে ভীত কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি সাইনবোর্ড বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর সব ক্ষেত্রে লেখা মুছে বাংলা ভাষায় লেখাকে ফিরিয়ে আনা হয়। কর্তৃপক্ষের এই খামখেয়ালিপনার জন্য আর্থিক ক্ষতি নিয়েও সমালোচনা শুরু হয়েছে। মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, ”ত্রিভাষায় লেখা সরকারিভাবে স্বীকৃত। প্রথমে আঞ্চলিক ভাষায় লিখতে হবে, এরপর হিন্দি ও শেষে আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজিতে লিখতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ভাষাকে উপেক্ষা করা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement