সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাজার আশার পরেও পুরোপুরি সফল হতে পারেনি মিশন চন্দ্রযান ২। অথচ ওই চ্যালেঞ্জিং প্রজেক্টেই যুক্ত ছিলেন নিজের সন্তান। তাই আশা যেন বেড়েছিল আরও কয়েকগুণ। চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান ২ পৌঁছালে একজন দেশবাসী হিসাবে যেমন গর্ব হবে, তেমনই আবার সফল ছেলের বাবা হিসাবেও গর্বিত হবেন তিনি, ভেবেছিলেন মিশন চন্দ্রযান ২-র ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্ট (টেকনিক্যাল) চন্দ্রকান্ত কুমারের বাবা। কিন্তু আচমকাই ছন্দপতন। আশায় জল ঢেলে নিরুদ্দেশ ল্যান্ডার বিক্রম। তাই মনখারাপ চন্দ্রকান্তের বাবা-মার। কিছুটা বিমর্ষ হুগলির গুড়াপের শিবপুরের বাসিন্দারাও।
মিশন চন্দ্রযান ২-র অ্যান্টেনা তৈরি করেছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানী চন্দ্রকান্ত কুমার। প্রথমদিন একথা জেনেই চমকে উঠেছিলেন বাবা মধুসূদন কুমার এবং মা অসীমা কুমার। কোলে পিঠে করে বড় করা ছেলে এত বড় কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে, তা ভাবতেই যেন অবাক লাগছিল তাঁদের। অপেক্ষার অবসান ঘটবে শুক্রবার রাতে। এই ভাবনায় ওইদিন সকাল থেকে উৎকণ্ঠাই যেন সঙ্গী ছিল চন্দ্রকান্তের বাবা-মার। আপডেটের আশায় বারবার একের পর এক সংবাদমাধ্যমে চোখ রেখেছিলেন তাঁরা। রাত বাড়তেই টেলিভিশনের পর্দার সামনে গিয়ে বসেন। চোখে মুখে তখন উৎকণ্ঠাই যেন ফুটে উঠছিল তাঁদের। কিন্তু আচমকাই হারিয়ে গেল ল্যান্ডার বিক্রম। সফল সন্তানের বাবা-মা এবং একজন ভারতীয় হিসাবে গর্বিত হওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হল মুহূর্তেই। তারপর থেকেই হুগলির গুড়াপের শিবপুরের চন্দ্রকান্তের বাড়ি যেন খাঁ-খাঁ করছে। হতাশ হয়ে গিয়েছেন গোটা গ্রামের বাসিন্দারা। পুরোপুরি সাফল্য আসেনি ঠিকই। তাতে যথেষ্টই আক্ষেপ রয়েছে চন্দ্রকান্তের বাবা মধুসূদন কুমারের। SangbadPratidin.in-কে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,”মিশন চন্দ্রযান ২ সফল হলে খুবই ভাল হত। যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। আবার নতুন করে সব কিছু শুরু হবে। ব্যর্থতাই হোক সাফল্যের চাবিকাঠি। আবারও সাফল্য আসবেই।”
২০০১ সালে ইসরোতে কাজ শুরু করেন কৃষক পরিবারের সন্তান চন্দ্রকান্ত কুমার। গুড়াপের মাটির বাড়িতে বেড়ে ওঠা। বেলুড়ে রামকৃষ্ণ মিশনে স্কুলজীবন কাটে তাঁর। এরপর তিনি ভরতি হন রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে। তাঁর ভাই শশীকান্তও বেঙ্গালুরুতে ইসরোয় গবেষণা করেন। মধুসূদনবাবুর দুই ছেলের নামের সঙ্গে চাঁদের সম্পর্ক গভীর। তবে তা একেবারে কাকতালীয় বলেই দাবি বৃদ্ধের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.