Advertisement
Advertisement

Breaking News

নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ে ভোটের আগেই বিরোধীদের টেক্কা তৃণমূলের

ভোটারদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলায় মন দিলেন নেতা-নেত্রীরা৷

Bengali New years greetings exchange for Trinamool
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 15, 2018 9:04 pm
  • Updated:April 15, 2018 9:04 pm  

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: হাই কোর্টের নির্দেশে কী হবে, তা নিয়ে পরে ভাবা যাবে৷ এখন চলুক শুধুই প্রচার৷ পয়লা বৈশাখের মতো এমন শুভদিনে জনসংযোগ সুবর্ণ সুযোগ কি আর হাত ছাড়া করা যায়? আর এই শুভ দিনটাকে পুরোদমে ভোটের প্রচারে না হলেও ভোটারদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলায় মন দিলেন নেতা-নেত্রীরা৷ কেউ সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে নববর্ষের শুভেচ্ছার সঙ্গে সঙ্গে উন্নয়নের বার্তাও পৌঁছে দিলেন, ভোটারদের কাছে৷ আবার কেউ সরাসরি বিভিন্ন সংস্থায় হাজির হয়ে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সঙ্গে সঙ্গে জনসংযোগ করেছেন৷

[বিজেপি প্রার্থী হওয়ার মাশুল, মহিলার সন্তানকে টিকা দিলেন না স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী]

ভোটের ময়দানে এই কাজে বিরোধীদের টেক্কা দিয়েছে শাসকদলের নেতা-নেত্রীরাই৷ সোশ্যাল মিডিয়াতেই হোক বা এসএমএস-হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা, সিপিএম-বিজেপি-কংগ্রেসকে জন সংযোগে পিছনে ফেলে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি থেকে শুরু করে অঞ্চল সভাপতি রবিবার ভোর দেখেই জনসংযোগে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন৷ কেউ বিভিন্ন সংস্থার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন৷ নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের বার্তাও দিয়েছেন৷

Advertisement
[গাড়ি ওভারটেককে ঘিরে ধুন্ধুমার, দমকলকর্মীদের চড়-ঘুসি মহিলার]

জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এদিন নিজের এলাকাতেই ছিলেন৷ নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি৷ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেন৷ স্বপনবাবু বলেন, ‘‘আমরা সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকি৷ নববর্ষেও মানুষের সঙ্গে থাকব৷ সেটাই স্বাভাবিক৷ বাংলা নববর্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছি৷ বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি৷ আবার অনেকে আমার কাছে এসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷’’ তিনি জানিয়েছেন, এই বিশেষ দিনে সকলের মঙ্গল কামনা করেছেন দলীয় কর্মীরাও৷ বাড়ি বাড়ি গিয়েছে অনেকেই শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন৷ তবে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে জনসংযোগ সেরেছেন অনেকেই৷

[কবর থেকে চুরি যাওয়া মাথার খুলি ফেরতের দাবিতে লাগাতার থানা ঘেরাও]

তৃণমূলের পাশাপাশি, তাদের ছাত্র সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন, কৃষক সংগঠনের তরফেও এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷ একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারও সেরেছে তারা৷ কংগ্রেসের তরফেও একইভাবে জনসংযোগ করা হয়েছে৷ তবে, সিপিএম বা বিজেপির তরফে সেইভাবে জনসংযোগে দেখা যায়নি৷ বিরোধীরা এখন হাই কোর্টের শুনানির দিকে তাকিয়ে৷ সোমবার কী হয় দেখে তারা ঝাঁপাবে৷ সিপিএমের এক নেতা বলেন, ‘‘তৃণমূলের সন্ত্রাসে জন্য আতঙ্কের পরিবেশ৷ সেখানে প্রচার থেকে জন সংযোগ সবেতেই বাধা৷ সাহস করে ময়দানে নামতে গেলে তৃণমূলের লেঠেলবাহিনী হামলা করার আশঙ্কা রয়েছে৷’’ বিজেপির তরফেও একই অভিযোগ করা হচ্ছে৷ জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডুর কটাক্ষ, ‘‘যারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে তারা আবার জনসংযোগ করবে কীভাবে৷’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement