দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ওড়িশায় কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। হুগলির তারকেশ্বর থেকে এক যুবককে উদ্ধার করল পুলিশ। খবর পেয়ে তারকেশ্বরে পৌঁছেছেন ওই যুবকের পরিবারের লোকেরা। এক আত্মীয় জানিয়েছেন, ওই যুবক মানসিকভাবে সুস্থ নন। বাবার সঙ্গে ওড়িশায় কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
[বাঘবন্দি বাঘঘোড়ায়, ধরা পড়েও জাল ছিঁড়ে পালাল দক্ষিণরায়]
যুবকের নাম সঞ্জয় দাস। বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটা থানার গোপালপুরে। বুধবার রাতে হুগলির তারকেশ্বরের পদ্মপুকুর এলাকায় সঞ্জয়কে উদ্দেশ্যেহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখেন পুলিশকর্মীরা। তাঁদের সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই যুবকের পরিচয় ও বাড়ির ঠিকানা জানা যায়। কিন্তু, কথাবার্তায় অসংলগ্নতা দেখে পুলিশকর্মীরা বুঝতে পারেন, তিনি মানসিকভাবে খুব একটা সুস্থ নন। রাতে তারকেশ্বর থানাতেই ছিলেন সঞ্জয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান পুলিশ আধিকারিকরা। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা হয় তাঁর। ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটায় সঞ্জয়ের বাড়ির লোকেদের খবর দেয় তারকেশ্বর থানার পুলিশ। নাতির খবর পাওয়া পাত্রই তারকেশ্বর পৌঁছে যান নির্মলকুমার দাস। তিনি জানিয়েছেন, সঞ্জয় মানসিকভাবে সুস্থ নন। ছেলের সঙ্গে ওড়িশায় কাজ করতে গিয়েছিলেন তাঁর নাতি। কিন্তু দিন চারেক আগে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান সঞ্জয়। স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়ারি করা হয়েছিল। কিন্তু সঞ্জয়ের খোঁজ না পেয়ে উদ্বেগে ছিলেন পরিবারের লোকেরা। নির্মলকুমার দাস বলেন, “নাতিকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তারকেশ্বর থানার পুলিশকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই।” তারকেশ্বর থানার ওসি অমিত মিত্র বলেন, শুধু অপরাধীদের ধরাই নয়, বিপদের সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো পুলিশের নৈতিক কর্তব্য।
[পেট নাকি স্টোররুম! অপারেশনে বেরল লোহার রড, জিভছোলা, চামচ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.