সম্যক খান ও শংকর রায়: অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে গিয়ে এক বাঙালি তরুণের রহস্যমৃত্যু। মৃতের নাম চিরঞ্জীব হাজরা। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে সিডনির বাড়ি থেকে চিরঞ্জীবের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। এদিকে, বেঙ্গালুরুতে পড়তে গিয়ে এক তরুণীর মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে।
[বহুজাতিক সংস্থার ওয়েবসাইটে ফোন নম্বর, পুলিশের দ্বারস্থ নাকাল সাংসদ]
কেশপুরের নেড়াদেউলে ক্ষুদিরাম মোড়ে বাড়ি চিরঞ্জীবের। এমবিএ পড়তে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, এমবিএ পাস করার পর, সেদেশেই চাকরি করছিলেন চিরঞ্জীব। মাস ছয়েক আগে নতুন একটি কোম্পানিতে যোগ দিয়েছিলেন। সিডনিতে হোটেল ব্যবসাও শুরু করেছিলেন বছর তিরিশের ওই তরুণ। তবে মাস তিনেক ধরে হোটেলটি বন্ধ। চিরঞ্জীবের পরিবারের লোকেদের দাবি, মঙ্গলবার সিডনির বাড়ি থেকে ওই তরুণের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের দিদি সুপর্ণা সামন্ত বলেন, “গত ১৩ অক্টোবর বাড়ি এসেছিল ভাই। ছিল প্রায় ১৫ দিন। তখনই সে জানিয়েছিল যে হোটেল ব্যবসায় ভারতীয় মুদ্রায় ৩৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছে না। তাই সে নিজের বিনিয়োগ করা টাকাটা তুলে ব্যবসা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে।” পরিবারে লোকেদের অভিযোগ, চিরঞ্জীবের বন্ধুরাই তাঁকে পরিকল্পনামাফিক খুন করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ঘটনার উচ্চ-পর্যায়ের তদন্তের দাবি করেছেন তাঁরা। ময়নাতদন্তের পর চিরঞ্জীবের দেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য অস্ট্রেলিয়ার ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তাঁর বা়ড়ি লোকেরা।
[১৪ ঘণ্টা লুকিয়েও হল না লাভ, জুতোর লোভে ধরা পড়ল চোর ]
এদিকে বেঙ্গালুরুতে পড়তে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মারা গেলেন উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের তরুণী মৌসুমী রায়। বুধবার সকালে মৃতদেহ আসার পর, রায়গঞ্জ হাসপাতালে ফের ময়নাতদন্ত হয়। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মৃতের বাড়ির লোকেরা। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি নার্সিং কলেজে ভরতি হয়েছিলেন মৌসুমী। কিন্তু, কয়েক মাস বাদে ফিরে এসেছিলেন তিনি। বুঝিয়ে সুঝিয়ে ২০১৭ গোড়ায় ফের তাঁকে বেঙ্গালুরুতে পাঠিয়ে দেন আত্মীয়রা। পরিবারের লোকেদের দাবি, ২৯ জানুয়ারি রাতে তাঁরা জানতে পারেন, কলেজের হস্টেল থেকে ওই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ছবি: নিতাই রক্ষিত ও দীপিকা দে
[কুল পাড়ার ‘অপরাধে’ অন্তঃসত্ত্বা মা ও শিশুকে বেধড়ক মার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.