সৌরভ মাজি, বর্ধমান: আক্ষরিক অর্থেই এবার বিশ্ব দরবারে জয়ী বাংলার ‘কন্যাশ্রী’। গুগল আর্টস অ্যান্ড কালচারে জায়গা করে নিল মেমারির দিগন্তিকা বোসের নিজের হাতে তৈরি মাস্ক। তার বানানো মাস্কটি দুনিয়ার সেরা ডিজাইনের একটি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এমন অনন্য নজির গড়ে শুধু পরিবার বা স্কুলেরই নয়, গোটা বাংলার মুখ উজ্জ্বল করল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
সাংস্কৃতিক নিদর্শন থেকে শিল্পকর্ম, গুগল আর্টস অ্যান্ড কালচার (Google Arts And Culture) অনলাইন মিউজিয়ামে স্থান করে নেয় বিশ্বের সেরা সৃষ্টিগুলি। যা এক ক্লিকে দেখে নিতে পরে গোটা দুনিয়া। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই ভারচুয়াল মিউজিয়ামটি তৈরি হয়েছিল। তারপর থেকে নানা শিল্পকলা স্থান পেয়েছে এখানে। আর এবার সেখানেই ঠাঁই পেল মেমারির ছাত্রীর অভিনব সৃষ্টি। দিগন্তিকা বোস। মেমারির ভিএম ইনস্টিটিউশন ইউনিট ২-এর দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর প্রতিভার সাক্ষী থাকবে গোটা বিশ্ব।
করোনার (Corona Virus) সঙ্গে মোকাবিলায় অনেক পড়ুয়াকেই অভিনব নানা স্যানিটাইজেশন মেশিন, মাস্ক, ফেসশিল্ড বানাতে দেখা গিয়েছে অতীতে। তবে তাঁদের মধ্যে থেকে আলাদা করে নজর কেড়ে নিতে সফল দিগন্তিকা। তাই এই অনলাইন মিউজিয়ামে তার তৈরি ভাইরাস ডিটারেন্ট মাস্কের মডেল সংরক্ষিত থাকছে। যেখানে জ্বলজ্বল করছে তার নামটি। উল্লেখ রয়েছে, এই ধুলোমুক্ত এবং ভাইরাস-নিরোধক মাস্কটি ভারতের সতেরো বছর বয়সি কনিষ্ঠতম উদ্ভাবক হিসাবে ডিজাইনটির প্রোটোটাইপ করেছেন দিগন্তিকা। গোটা বিষয়টিকে গুগল বর্ণনা করেছে এভাবে। নিজের জ্ঞান আর বুদ্ধি প্রয়োগ করে দিগন্তিকা আবিষ্কার করেছে যে নেতিবাচক আয়নগুলি যখন বাতাসের সংস্পর্শে আসে, তখন তারা বেশিরভাগ ভাইরাসকে ধ্বংস করে দেয়। সম্পূর্ণ ভাইরাস ধ্বংস নিশ্চিত করতে, একটি সাবান-জল মিশ্রণ দু’টি রাসায়নিক ফিল্টারে যুক্ত করা হয়েছে যা গৃহীত বাতাসকে বিশুদ্ধ করে। তার মধ্যেই ভাইরাসের অবশিষ্ট ধ্বংস করে প্রবেশ করে।
এমন সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত দিগন্তিকা। প্রতিভাবান ছাত্রী বলে, “আমার খুব ভাল লাগছে এটা জেনে যে আমার তৈরি ভাইরাস ধ্বংসকারী মাস্ককে গুগল আর্টস অ্যান্ড কালচার বিশ্ব সেরা দশটি অনুপ্রেরণামূলক ডিজাইনের মধ্যে স্থান দিয়েছেন গুগলের মিউজিয়ামে।” বাংলার মেয়ের এই নজির নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণা দেবে বাকিদেরও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.