Advertisement
Advertisement

রোদে-জলে নষ্ট হচ্ছে সবুজসাথী সাইকেল, ক্ষোভে ফুঁসছে বালুরঘাট

বিডিও-র দাবি, এই সাইকেলগুলি সরকারের নয়৷

Bengal Sabooj Sathi cycles rotting
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 21, 2019 6:54 pm
  • Updated:January 21, 2019 6:54 pm  

রাজা দাস, বালুরঘাট: রোদে পুড়ে, জলে ভিজে নষ্ট হচ্ছে সবুজসাথী প্রকল্পের শতাধিক সাইকেল৷ এমনই অভিযোগে সরব দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাসিন্দারা৷ তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের পারদ ক্রমশই চড়ছে৷ যদিও ব্লক প্রশাসনের দাবি, এই সাইকেলগুলি সরকারের নয়৷ যে এজেন্সির মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের সাইকেল দেওয়া হয়েছে, এগুলি তাদেরই৷

[বিবাহবার্ষিকীর আগেই স্ত্রীকে খুন করল সেনা জওয়ান, চাঞ্চল্য খড়দহে]

ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে একাধিক প্রকল্পের বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য সরকার৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পড়ুয়াদের হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সাইকেল৷ তা পেয়ে যথেষ্টই উপকৃত তারা৷ রাজ্যের আর পাঁচটা জেলার মতো দক্ষিণ দিনাজপুরের পড়ুয়ারাও পেয়েছে সাইকেল৷ কিন্তু এই সাইকেল নিয়েই ক্রমশই ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছে বালুরঘাটে৷ কিন্তু এই ক্ষোভের কারণটা কী? স্থানীয়দের দাবি, ছাত্রছাত্রীদের বিতরণ করার আগে কিষাণ মাণ্ডিতেই রাখা ছিল সবুজসাথী প্রকল্পের সাইকেল৷ রোদে পুড়ে, জলে ভিজে প্রায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে সেগুলি৷ সবুজসাথীর স্টিকার লাগানো ওই সাইকেলগুলিতে নাকি ইতিমধ্যেই মরচেও পড়ে গিয়েছে৷ কোনও কোনও সাইকেলের টায়ারও ফেটে গিয়েছে৷ ব্যবহারের আগেই ওই সাইকেলগুলি নিয়ে যেতে হচ্ছে মিস্ত্রির কাছে৷ জেলার এক স্কুলপড়ুয়া রিপন ভৌমিক জানায়, ‘‘সাইকেলগুলি অযথা নষ্ট হচ্ছে৷ কিষাণ মাণ্ডিতে ফেলে না রেখে ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দিলে, আমরা উপকৃত হব৷’’ বিষয়টির উপর প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের নজর রাখা উচিত বলেও দাবি তার৷

Advertisement

[গোয়ালঘরে ‘অনুপ্রবেশ’, গরুর লাথি খেয়ে বেহুঁশ শিয়াল]

সাইকেলগুলি বিতরণের দাবি যখন তুলেছে এক পড়ুয়া, তখন ব্লক প্রশাসনিক আধিকারিকদের গলায় শোনা যাচ্ছে একেবারেই উলটো সুর৷ ব্লক প্রশাসনিক আধিকারিকদের দাবি, জেলার প্রত্যেকটি ছাত্রছাত্রীই সাইকেল পেয়ে গিয়েছে৷ এমনকী, শতাধিক সাইকেল যে অযত্নে পড়ে রয়েছে, তা মানতেও নারাজ আধিকারিকরা৷ বালুরঘাটের বিডিও সুস্মিতা সুব্বার দাবি, একটি এজেন্সি ওই সবুজসাথী সাইকেলগুলি তৈরি করত৷ জেলার প্রত্যেকটি স্কুলের পড়ুয়ারা সাইকেল পাওয়ার পর যেটুকু অতিরিক্ত তাই রাখা রয়েছে কিষাণ মাণ্ডিতে৷ এই সাইকেলগুলি ওই এজেন্সির মালিকানাধীন৷ এর সঙ্গে সরকারি প্রকল্পের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি তাঁর৷ যদিও বিডিও-র দাবি মানতে নারাজ এলাকাবাসী৷ তাঁদের পালটা দাবি, প্রশাসনিক উদাসীনতার ছবি প্রকাশ্যে আসার পর তা ধামাচাপা দিতেই মন গড়া নানা যুক্তি সাজাচ্ছেন বিডিও৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement