রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur) কাঁথির এক তৃণমূল (TMC) নেতা। দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়ে তৈরি হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ক্যাম্প। আর সেখানকার জওয়ানরা এলাকায় জনসংযোগ বাড়াতে নানা সমাজসেবা মূলক কাজ করছেন। সম্প্রতি তাঁদের গাছ লাগানোর কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে ভোটের আগে বিতর্ক তৈরি করলেন কাঁথি ৩ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শ্যামল দাস।
গত ১৯ মার্চ থেকে দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়ে রয়েছেন বিএসএফ (BSF)-এর ১২০ জন জওয়ান। ক্যাম্পের আসার দিন থেকেই তাঁরা এলাকার মানুষের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করেছেন। প্রথমেই তাঁরা গ্রামের রাস্তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ করেন। যাঁরা মহাবিদ্যালয়ের মাঠে প্রাতভ্রমণে আসেন তাঁদের যোগ প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন জওয়ানরা। এমনকি এলাকার কলেজের পড়ুয়াদের ভারতীয় সেনা বাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্যও উৎসাহ এবং পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
এই ব্যাটালিয়ানের কমান্ডিং অফিসার জানিয়েছেন, তাঁরা এই এলাকা ছেড়ে যাওয়ার পরেও যাতে স্থানীয় মানুষ তাঁদের মনে রাখেন, সেই চেষ্টা করছেন। সেই জন্য তাঁরা কলেজ চত্বরে ১০০টি গাছ লাগান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য এলাকার কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁদের মধ্যেই উপস্থিত ছিলেন এলাকার সমাজসেবী তথা কাঁথি ৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামল দাস।
কিন্তু রাজনৈতিক ব্যক্তি হয়ে সেখানে উপস্থিত থাকা এবং ভোটের কাজে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে ছবি তুলে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন শ্যামল দাস। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিজেপি। পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপি জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী অভিযোগ করে বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে তৃণমূল নেতার এই আলাপচারিতা অনৈতিক কাজ। প্রতিবারের মতো এবারেও তৃণমূল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। আমরা এই গোটা ঘটনার তিব্র নিন্দা করছি। আর এর জন্য যদি আইনশৃঙ্খলা অবনতি হয় তার জন্য প্রশাসন দায়ী থাকবে।” বিষয়টি নিয়ে বিজেপি কমিশনেও যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আর জেলাশাসক স্মৃতি পাণ্ডে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, “এটা হওয়ার কথা নয়। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.