ফাইল ছবি।
দীপঙ্কর মণ্ডল: কমিশনের নজরদারি এড়িয়ে তারাপীঠ মন্দিরে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)! বেলা ১২ নাগাদ আচমকাই উধাও হয়ে গিয়েছিলেন। শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা বীরভূমে। হন্যে হয়ে তাঁকে খুঁজছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। অবশেষে তাঁকে দেখা গেল তারাপীঠে।
২৯ এপ্রিল বীরভূমে ভোটগ্রহণ। তার আগে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে জেলার দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করে কমিশন (Election Commission)। বাড়ির বাইরে পাহারায় ছিলেন কমিশনের আধিকারিকরা। বুধবার সকালে আধিকারিকদের সামনেই বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকার বাড়ি থেকে বের হন তিনি। গাড়িতে করে রওনা হন গন্তব্যের উদ্দেশে। পিছনেই গাড়িতে ছিলেন কমিশনের আধিকারিকরা ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। আচমকাই একটি রাস্তার বাঁক থেকে উধাও হয়ে যান অনুব্রত। এরপর আর তাঁর গাড়ির হদিশ পাননি কমিশনের প্রতিনিধিরা। কোথায় গেলেন ‘কেষ্ট’দা? সে বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ কোনও তথ্য মেলেনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা হন্যে হয়ে খুঁজতে শুরু করে তৃণমূলের দাপুটে নেতাকে। অনুব্রত বীরভূমের স্পর্শকাতর এলাকা তথা নানুর ও সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে থাকতে পারেন বলে অনুমান করা হয়।
কয়েকঘণ্টা পর অনুব্রত মণ্ডলের দেখা মিলল তারাপীঠ মন্দিরে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের চরকি পাক খাইয়ে মন্দিরে কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি। ভোটের দামামা বাজার পর থেকেই ভয়ংকর খেলার ডাক দিয়েছিলেন অনুব্রত। কমিশনের চোখে ধুলো দিয়ে কার্যত খেলাই দেখালেন তিনি! উল্লেখ্য, উনিশের লোকসভা নির্বাচনের সময় অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। তবে সেটা ছিল শুধুমাত্র ভোটের দিন। যদিও তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, সেবারের ভোটের সময়ে খোশমেজাজেই ছিলেন তিনি। কোথায় কেমন ভোট হচ্ছে, দিনভর সেই তথ্য নিজের নখদর্পণে রেখেছিলেন।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.