ফাইল ছবি
শুভঙ্কর বসু: তৃতীয় দফা নির্বাচনের আগে ফের রাজ্যে প্রশাসনিক পদে একঝাঁক রদবদল। অবাধ ভোটের লক্ষ্যে এই রদবদলের নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। পরবর্তী দফাগুলিতে যে যে এলাকায় নির্বাচন রয়েছে, সেই সেই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঢেলে সাজাতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসলে কমিশন কোনওভাবেই নিরাপত্তা নিয়ে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না।
কমিশনের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতিকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে অমিত কুমার সিংকে। হুগলির চন্দননগরের ডিসিপি তথাগত বসুকে সরিয়ে ওই পদে আনা হয়েছে আইপিএস অফিসার অভিষেক মোদিকে। চন্দননগরের হেভিওয়েট লড়াইয়ের আগে এই রদবদল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এছাড়া, ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার মিঠুন দের জায়গায় নতুন ডেপুটি সুপার হলেন শ্যামল কুমার মন্ডল। তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের (ডিইবি)র ডেপুটি সুপার ছিলেন। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত সাউথ ডিভিশনের ডিসিপি (DCP) জোন ২ পদে খড়গপুর রেল পুলিসের সুপার অবদেশ পাঠককে নিয়োগ করেছে কমিশন। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ফলতা থানার আইসি অভিজিৎ হাইতকে সরিয়ে তার জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের (EB) ইন্সপেক্টর অতনু ঘোষালকে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রথম দু’দফার নির্বাচন কার্যত নির্বিঘ্নে মিটলেও নিরাপত্তা কর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছে রাজনৈতিক দলগুলি। তৃণমূল যেখানে মূলত কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে, সেখানে বিরোধী শিবিরের অভিযোগের তির অনেকাংশে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। কমিশন অবশ্য ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে শুরু থেকেই কড়া। রাজ্যের ভোট প্রক্রিয়া শুরুর কয়েক দিন আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশের এডিজিকে। নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিত কর পুরকায়স্থকে। রাজ্য পুলিশের প্রায় সব স্তরের আধিকারিককেই বদলির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তৃতীয় দফার ভোটের আগে আরও একবার একই পথে হাঁটল কমিশন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.