জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: কোভিড (COVID) ভয়াবহ আকার ধারণ করলেও এখনও রাজনৈতিক দলগুলি সভা-মিছিল করছে। প্রাণের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও সেখানে জড়ো হচ্ছেন বহু মানুষ। রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভাতেও স্বাভাবিকভাবেই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। আর তা দেখেই দুঃখ প্রকাশ করলেন যুব তৃণমূল সভাপতি। বললেন, “করোনা পরিস্থিতিতে এত জমায়েত দেখে আনন্দের পরিবর্তে খারাপ লাগছে।”
রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। নিয়মিত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কয়েক হাজার মানুষের শরীরে থাবা বসাচ্ছে মারণ ভাইরাস। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাস্ক, স্যানিটাইজারের মতোই গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক দূরত্ব পালন। কিন্তু ভোটের আবহে জয়ামেত এড়ানো যাচ্ছে না। যে কোনও রাজনৈতিক সভাতেই উপচে পড়ছে ভিড়। শনিবার মোদির সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন বহু মানুষ। ভিড় দেখে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছিলেন, “খুব ভাল লাগছে।” রবিবার মোদির এই মন্তব্যের নিন্দা করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “করোনা নিয়ে আমরা চিন্তিত। জনসভায় এত লোক দেখে আমার খারাপ লাগছে। কারণ, ভাল লাগা সম্ভব নয়। অথচ দেখুন জনসভায় ভিড় দেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলছেন, তাঁর নাকি খুব ভাল লাগছে। বাংলার মানুষ এই প্রধানমন্ত্রীকে চাইবেন? কখনই না।”
বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল রায়ের সমর্থনে আয়োজিত এই নির্বাচনী জনসভা থেকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য সরাসরি দিল্লির বিজেপি নেতাদের নিশানা করেন অভিষেক। মমতার পথে হেঁটে তিনি বলেন, “দিল্লি থেকে বহিরাগত নেতারা রাজ্যে আসছেন। তাঁরাই রাজ্যে করোনা ছড়াচ্ছেন। করোনার বিপদ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যই আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি করেছিলাম, শেষ তিন দফার ভোট একদিনে করা হোক। কিন্তু বিজেপি সেটা চায়নি। বিজেপির নেতারা চাইছেন, তাঁরা দিল্লি থেকে রাজ্যে আসবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালাগাল করবেন। যেন তেন প্রকারেণ তাঁরা বাংলা দখল করবেন। তাঁদের বড় বড় জনসভা হবে। তাতে যে করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে। সে ব্যাপারে বিজেপি নেতাদের কোনও মাথাব্যথা নেই।” এদিন কমিশনকেও তুলোধোনা করেন সাংসদ। বলেন, “কমিশন বিজেপির কোথায় চলে। শীতলকুচিতে পাঁচজনকে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে বুকে গুলি করে মেরেছে। বাংলার মানুষ তার জবাব দেবে। বাংলার মানুষ ভোট দেবেন কন্যাশ্রীর কথা ভেবে। বাংলার মানুষ ভোট দেবেন স্বাস্থ্যসাথীর কথা ভেবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.