সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll) মনোনয়ন পর্বে জ্বলছে ভাঙড়। ঝরেছে রক্ত। ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলবও করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শনে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আর এই সফরের পরই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে বেনজির আক্রমণ মদন মিত্রের। রাজভবনে থাকলেও, তাঁর নজর ভাগাড়ে বলেই তোপ দাগলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক।
বাংলা শেখার আগ্রহে গত সরস্বতী পুজোয় রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠান হয়। সেই প্রসঙ্গ তুলে ভাঙড়ের পরিস্থিতি পরিদর্শন নিয়ে মদন মিত্রকে খোঁচা দেন তিনি। বলেন, “মনে হল বিদ্যাসগর আজকে স্বপ্নে বললেন, কাকে হাতেখড়ি দিলে? অ-আ-ক-খ না শিখিয়ে, ওকে তো খুন এবং কীভাবে খুনের প্লট সাজাতে হয়, সেটা শেখানো উচিত ছিল। রাজভবনে থাকেন, অথচ নজর ভাগাড়ে। রাজ্যপাল যা পারবেন, করে নেবেন মদন মিত্রের বিরুদ্ধে। একবার মণিপুরে চলুন, মৃতদেহ শুধু ভাঙড়ে চোখে পড়ছে? ইন্ধন জোগাচ্ছেন? হেমেন মিত্র হতে চাইছেন? আমার ক্ষমতা থাকলে এই রাজ্যপালকে বিজেপির সভাপতি, গুন্ডা মাফিয়ার চেয়ারম্যান করে দিতাম।”
এখানেই শেষ নয়। ভাঙড়ে যদি নতুন করে অশান্তি তৈরি হয়, তবে তার দায় রাজ্যপালকেই নিতে হবে বলেও দাবি মদন মিত্রের। তাঁর পরামর্শ, “দূর দূর করে বিতাড়িত করা উচিত। শয়তানের খেলা আপনি দেখেননি, এই তো শুরু। রাজ্যপালের উসকানিতে ভাগাড়ে যত লাশ যাবে, তার ভূমিকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর থাকবে, দায়িত্ব নিতে হবে। রাজ্যে আর একটা খুন হলে, রাজ্যপালকে ওই মামলার পার্টি করা উচিত। ৩০৪, ৩০৮ ধারা ধারা দেওয়া উচিত। রাজ্যপাল না হরিদাস পাল! ওর থেকে পরেশ পালের স্ট্যান্ডার্ড ভাল।” বেনজির আক্রমণের সুরে ইডি-সিবিআইকে রাজভবন তল্লাশির পরামর্শও দেন মদন। তিনি বলেন, “রাজ্যপালের বাড়িতে তল্লাশি করুন। প্রচুর বোমা পাওয়া যাবে। শেষ কথা বলবে তৃণমূল। আমি বলে দিলাম, ১১ জুলাই প্রথম যিনি পদত্যাগ করবেন, তিনি এই রাজ্যপাল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.