শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ঘরের লোকই ছিলেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী। কারণ, একই আসনে লড়েছিলেন তিন জা। দুই জাকে হারিয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসলেন তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর ছোট মামি। তৃণমূলের সৈনিক হিসাবে ভোটযুদ্ধে (Bengal Panchayat Election) লড়াই করেন তিনি। জয়ের পর শুভেচ্ছায় ভাসছেন পুনম চক্রবর্তী। তাঁকে ফোনে শুভেচ্ছা জানান মিমিও।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭/১৫৫ নম্বর আসন থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী হয়েছিলেন চক্রবর্তী বাড়ির তিন বউমা। বড় বউমা কান্তা চক্রবর্তী কংগ্রেস থেকে ভোটে দাঁড়ান। মেজ বউমা পর্না নাগ চক্রবর্তী সিপিএম আর ছোট বউমা পুনম চক্রবর্তী তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এক পরিবার। একসঙ্গে ওঠা-বসা। তাই সম্পর্ক বাঁচিয়েই লড়াইয়ে নেমেছিলেন তিন বউমা। ব্যস্ততার কারণে ভোট দিতে পারেননি মিমি। তবে তিন মামিকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত কে জেতেন তা নিয়ে কৌতূহল ছিল সকলের। তিনজনই জানিয়েছিলেন, যে-ই জিতুক না কেন তাতে সম্পর্কে কোন ছেদ পড়বে না। ভোটের ফলপ্রকাশের পরেও তাঁদের বক্তব্য একই।
পুরাতন পাণ্ডাপাড়ার ১৭/১৫৫ নম্বর বুথের মোট ভোটার সংখ্যা ৮৫৫। ভোট পড়েছে ৭১৩টি। তার মধ্যে ছোট বউমা তৃণমূল প্রার্থী পুনম চক্রবর্তী পেয়েছেন ২৩৪টি ভোট। বড় বউমা কান্তা চক্রবর্তী পেয়েছেন ২১৭টি ভোট। সিপিএম প্রার্থী মেজো বউমা পর্না নাগ চক্রবর্তী পেয়েছেন ৯২টি ভোট। এই বুথে বিজেপি প্রার্থী পেয়েছে ১২৪টি ভোট। শেষ পর্যন্ত এক বউমা জয়ী হওয়ায় খুশি গোটা পরিবার। জয়ী ছোট বউমা পুনম চক্রবর্তীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাকি জায়েরা। মামিকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি যাদবপুরের সাংসদ নায়িকা মিমি চক্রবর্তীও। খুশি পুনম চক্রবর্তী। জানান, “পরিবারের সকলের মতামতকে কাজে লাগিয়েই এলাকার উন্নয়নের কাজ শুরু করবেন।”
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.