রাজা দাস, বালুরঘাট: উচ্চমাধ্যমিকের দু’দিন আগে উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে উদ্দাম নাচ করে বিতর্কে জড়ালেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। উচ্চমাধ্যমিকের আগে মাইক বাজানো নিষিদ্ধ। সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিধায়ক তথা মন্ত্রীর কীভাবে একাজ করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
জানা গিয়েছে, দোল উৎসব উপলক্ষ্যে সোমবার বালুরঘাটের তপন ব্লক কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিধায়ক বাচ্চু হাঁসদা-সহ ব্লক আধিকারিক এবং অনান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এলাকার ছেলেমেয়েরাও সেই অনুষ্ঠানে শামিল হন। সরকারি নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই তারস্বরে চালানো হয় গান। কচিকাঁচাদের সঙ্গে গানের তালে পা মেলান খোদ মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। ছন্দে শামিল হতে দেখা যায় বিডিও-সহ অনান্যদেরও। সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শুরু বিতর্ক।
সামনেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। সেই কারণে রবিবার থেকে মাইক বাজানো নিষিদ্ধ সরকারিভাবে। সেখানে একজন জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীল মন্ত্রী প্রকাশ্যে এই উচ্চস্বরে বাজানোর বিষয়ে সম্মতি দিলেন কীভাবে? নিজে আবার পা মেলালেন সেই তালে! তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন সকলে। মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে বাংলার গর্ব মমতা কর্মসূচিতে দল বিরোধী মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বাচ্চুবাবু। ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
তবে এ প্রসঙ্গে বাচ্চু হাঁসদা বলেন, “শুধু কি তপনে মাইক বেজেছে? রাজ্য জুড়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বসন্ত উৎসব বছরে একবার হয়। এই উৎসবে মানুষকে ধরে রাখা যায় না। আমার নিমন্ত্রণ ছিল। ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান না। বিডিও’র অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। আমি ওদের সঙ্গ দিয়েছি মাত্র।” এ প্রসঙ্গে তৃণমূল জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, “এটা একদম ঠিক নয়। সামনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। সেখানে প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে মাইক বাজানো যাবে না। আমার মনে হয় নিয়ম প্রত্যেকের জন্য সমান। নিয়ম কারও জন্য পালটে যেতে পারে না, তিনি যেই হোন।” প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলেও জানান তিনি। তপন ব্লকের বিডিও বলেন,” এটা পাবলিক প্লেসে হয়নি। ব্লক কার্যালয়ের ভিতরে হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক দেরি আছে এতে কারও অসুবিধা হয়নি। “
বিজেপি রাজ্য নেতা নীলাঞ্জন রায় বলেন, প্রশাসনিক কর্তাদের সামনে তাদের মদতে বিডিও অফিসে মন্ত্রী উদ্দাম ভাবে নাচেন মাইক বাজিয়ে। উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য সব ধরণের মাইক বাজানো নিষেধ। তৃণমূলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই ভাবে মাইক বাজছে। তাই আমরা ভাবি তৃণমূলের জন্য এক আইন আর বিরোধী বা সাধারণ মানুষের জন্য এক আইন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.