ছবি: প্রতীকী।
অংশুপ্রতীম পাল, খড়গপুর: অনেকটা পথ পেরিয়েও ঘরে ফেরা হল না বাংলার শ্রমিকের। মহারাষ্ট্র থেকে বাংলায় ফেরার পথে বাসেই মৃত্যু হল পিংলার যুবকের। কিন্তু সংক্রমণের ভয়ে কেউ ছুঁয়েও দেখল না। দেহ বাস থেকে নামাতে দেয়নি ওড়িশা সরকার। ফলে বাসেই ২৪ ঘণ্টা পড়ে থাকল দেহ। বুধবার ভোরে ওই যুবকের নিথর দেহ নিয়ে বাস পৌঁছল মেদিনীপুরে।
জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের আন্ধেরি থেকে পিংলায় ৩৫ জন বাংলার বাসিন্দা ফিরছিলেন বাসে। গত পরশু রাতে বাসে ওঠেন তাঁরা। ওই বাসেই ছিলেন পিংলার বাসিন্দা সুদর্শন মণ্ডল। বাসে ওঠার পরই শরীর খারাপ লাগে তাঁর। ঘণ্টা তিনেক পর বাসেই মারা যান। মঙ্গলবার সকালে ওড়িশা সীমান্তে বাস থেকে দেহ নামানোর চেষ্টা করা হলে বাধা দেয় প্রশাসন। ভারতের মধ্যে মহারাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণের সংখ্যা সর্বাধিক। সেই মহারাষ্ট্র থেকে ফিরছে বাস আসছে বলে সংক্রমণের আশঙ্কাতেই দেহ নামাতে বাধা দেয় ওড়িশা সরকার। ফলে বাসেই থেকে যায় দেহ। ২৪ ঘণ্টা পর সেই দেহ নিয়ে বাস পৌঁছয় মেদিনীপুর শহরে।
মেদিনীপুরে ঢোকার পর চালক পিংলা থানায় জানান ওই যুবকের মৃত্যুর কথা। পুলিশ আগে সোজা করোনা হাসপাতালে যেতে বলে। হাসপাতালের সামনে রীতিমতো ব্যারিকেড করে দেহ নামায় পুলিশ। বাকি ৩৪ জন সুস্থ যাত্রীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় পিংলার উদ্দেশে। এদিকে, খড়গপুর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য। বুধবার সকালে এক একটা অ্যাম্বুল্যান্সে করে পিংলার ঝিলাই আইটিআইতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয় বাকি যাত্রীদের। অন্যদিকে, পিংলায় সুদর্শন মণ্ডলের গ্রামের বাড়িতে তাঁর মৃত্যুর পর ভেঙে পড়ে পরিবার। এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.