সৌরভ মাজি,বর্ধমান: ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে গত পাঁচমাস ধরে নিখোঁজ এক যুবক। ছেলেকে ফিরে পেতে পুলিশ, প্রশাসনের দ্বারস্থ হন পরিবারের লোকজন। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীরও দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। অভিযোগ, যাঁর মাধ্যমে ওই যুবক ভিনরাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন তিনিও আর ফোন ধরছেন না। চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার মশাগ্রামের প্রসেনজিৎ হেমব্রমের বাবা-মা। এখন তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সহায়তার পথ চেয়ে বসে রয়েছেন।
নিখোঁজ প্রসেনজিতের বাবা রবিবাবু জানান, তাঁর ছেলে মাধ্যমিকের পর আর পড়াশোনা করতে পারেনি। দিনমজুরি করে কোনওক্রমে সংসার চালাত। কোনও চাকরি পেলে ভাল মাইনে মিলবে সেই আশায় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে দিতে বলত। কয়েকমাস আগে জামালপুরেরই কেরেলি গ্রামের পরাণ কিস্কু নামে একজনের সঙ্গে পরিচয় হয় প্রসেনজিতের। রবিবাবু জানান, পরাণ তাঁর ছেলেক জানিয়েছিল গোয়ায় কাজে গেলে ভাল মাইনে মিলবে। পরিবারের সুদিন ফিরবে। তাতে রাজি হয়ে যান প্রসেনজিৎ। গত ২৫ আগস্ট পরাণ বছর একুশের ওই যুবককে ভিনরাজ্যে কাজে নিয়ে যায়। গোয়ার ভাস্কো-ডা-গামা থানার আদাসিন এলাকায় নিয়ে গিয়ে রাখে প্রসেনজিৎকে। সেখান থেকে বাড়িতে ফোন করে ওই ঠিকানার কথা জানিয়েছিলেন রবিবাবুর ছেলে। মা সুন্দরী হেমব্রম জানান, সেখানে যাওয়ার পর কয়েকদিন প্রসেনজিতের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ ছিল। তারপর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এমনকী পরাণকে ফোন করলেও সে ফোন ধরছে না। পরে তাঁরা খোঁজখবর শুরু করেন। জানতে পারেন পরাণ আরও কয়েকজনকে সেখানে কাজে নিয়ে গিয়েছে। তাঁদের নম্বর জোগাড় করেন প্রসেনজিতের বাবা-মা। তাঁদেরও ফোন করা হয়৷ কিন্তু তাঁরাও প্রসেনজিতের ব্যাপারে কিছু জানাতে পারছে না।
মাসের পর মাস কেটে গেলেও ছেলের সন্ধান না পেয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছেন প্রসেনজিতের মা-বাবা। কয়েকদিন আগে তাঁরা জামালপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে ভিনরাজ্যে গিয়েও তদন্ত করা হবে৷ এদিকে, ওই যুবকের পরিবার ছেলেকে ফিরে পেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও আরজি জানিয়েছেন। সুন্দরীদেবী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীই পারবেন ছেলেকে ফিরিয়ে দিতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.