চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: কেউ কাজ করতেন রাজস্থানের মার্বেল কারখানায়, কেউ বা হায়দরাবাদের রঙের কারখানায়। লকডাউনে বাড়ি ফিরে আসার পর তাঁরা ভাবতেই পারেননি নিজ নিজ দক্ষতা অনুযায়ী এত তাড়াতাড়ি ফের কাজ পাবেন। তাও আবার নিজের জেলাতেই। সেই সমস্ত কাজহারা শ্রমিকদের চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হল রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, বারাবনি, কল্যাণেশ্বরীর বিভিন্ন বেসরকারি কারখানায়। বুধবার আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে “অতিথি শ্রমিক কর্মসুযোগ” নামক কর্মশালার মাধ্যমে ১২০ জন শ্রমিককে বেসরকারি কারখানায় অফার লেটার বা চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজির বিশেষ উদ্যোগে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল। কিন্তু প্রথম করে দেখাল পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। ভিন রাজ্য থেকে ফিরে আসা শ্রমিকদের স্কিল ম্যাপ করে দক্ষতা অনুযায়ী দেওয়া হল চাকরির নিয়োগপত্র। আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে এই কর্মশালায় জেলাশাসক ছাড়াও অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার সুকেশ জৈন, আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার চেয়ারম্যান বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র-বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি, দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি, রাজ্যের সিএমআরওর চেয়ারম্যান কর্ণেল দীপ্তাংশু চৌধুরি।
কর্মশালায় জেলাশাসক বলেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো ভিন রাজ্য থেকে জেলায় আসা ১৪ হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের স্কিল ম্যাপ হয়েছে। জেলার সমস্ত শিল্পপতি, ব্যবসায়ী ও উদ্যোগপতিদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সংস্থায় যোগ্যতা অনুযায়ী শ্রমিকদের চাকরীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, কর্মশালার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াটির শুভসূচনা হল মাত্র। এবার থেকে জেলা প্রশাসনের পোর্টালে ফিরে আসা শ্রমিকরা তাঁদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন এখানে সেই সমস্ত কাজহারা শ্রমিকদের এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ হিসাবে কাজ করবে। মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করে মেলবন্ধন তৈরী করেছেন জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনার৷ যা গোটা রাজ্যের মধ্যে দৃষ্টান্ত তৈরি হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.