সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের মাঝেই জাঁকজমক করে কর্ণাটকে চারহাত এক হচ্ছে প্রাক্তন মন্ত্রীর ছেলের। এর ঠিক বিপরীত ছবি দেথা গেল বাংলায়। খড়গপুরে নিয়মবিধি মেনে মাত্র ১৫ জনের উপস্থিতি বিয়ে সারলেন এক দম্পতি। শুধু তাই নয়, বিয়ের জন্য জমানো টাকাও স্থানীয় এক ক্লাবের হাতে তুলে দিলেন। যাতে সেই টাকায় লকডাউনের আবহে দুস্থ পরিবারকে সাহায্য করা যায়। নিম্নবিত্ত পরিবারের ওই দম্পতির এহেন কীর্তিকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে খড়গপুরের এক মন্দিরে স্বাতী নাথ ও সৌরভ কর্মকার সাতপাকে বাঁধা পড়লেন। তাঁদের জীবনের সেই বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী রইলেন ১৫ জন বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরা। রাজ্যে লকডাউন চলছে, তাই মেয়ের বিয়েতে হাজির থাকতে পারলেন না স্বাতীর মা-ও। বরং স্বাতীর এক মাসি নতুন দম্পতিকে আশীর্ব্বাদ করেন। দম্পতির দাবি, সকল অতিথিই মাস্কে মুখ ঢেকে সামাজিক দূরত্ব পালন করেছেন। তবে বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন শাঁখ বাজানো ও উলুধ্বনি দেওয়ার সময় মুখ থেকে মাস্ক খুলেছিলেন বলে খবর। এদিকে মাস্কে মুখ ঢেকেই বিয়ের মন্ত্র পড়েছেন পুরোহিত। পরিবার সূত্রে খবর, নতুন দম্পতি স্থানীয় ক্লাবের হাতে ৩১ হাজার টাকা তুলে দিয়েছেন। সেই টাকায় আগামী দু’দিন ৫০০ অভুক্ত দুস্থ পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দেওয়া হবে।
খড়গপুরে একটি ভাতের হোটেল চালান সৌরভ। তিনি জানান, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আমি ওই টাকা বিয়ের জন্য খরচ করতাম। কিন্তু পরে ভাবলাম কেন দুস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়াব না, তাই ক্লাবের ছেলেদের হাতে ওই জমানো টৈাকা তুলে দিলাম।” জীবনসঙ্গী এহেন পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন স্বাতীও। তিনি বলেন, “আমি খুশি। আমাদের বিয়েতে কিছু অভুক্ত মানুষের পাশে দাঁঢ়াতে পারলাম।” জানা গিয়েছে, মার্চ মাসের ১৩ তারিখ দুজনের বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু সৌরভের মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিয়ে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে সৌরভের বাড়ির কাছের মাসির কাছে থাকছিলেন স্বাতী। হবু শাশুড়ির দেখভাল করছিলেন। এর মাঝেই লকডাউন ঘোষণা হয়। শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার মন্দিরে বিয়ে সারলেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.