কিংশুক প্রামাণিক, বাঁকুড়া: ভূমি ও জনস্বাস্থ্য দপ্তরের ‘ঘুঘুর বাসা’ ভাঙতে হবে। আজ বাঁকুড়ায় রবীন্দ্র ভবনে প্রশাসনিক বৈঠকে জেলা প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরভোটের আগে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে দলীয় জনপ্রতিনিধিদের এই নির্দেশও দিলেন, ‘‘মানুষ ভুল বুঝে থাকলে, তাঁদের কাছে গিয়ে ক্ষমা চান। উন্নয়নের কাজে এলাকার মানুষের পরামর্শ নিন।’’ মুখ্যমন্ত্রী ডিজিকে নির্দেশ দেন, ‘‘ভূমি ও ভূমি সংস্কার এবং জনস্বাস্থ্য দপ্তরে ঘুঘুর বাসা হয়েছে। এগুলি সব ভেঙে দাও।’’ দুর্নীতি দমন শাখাকেও এই দুই দফতরে কড়া নজরদারি চালাতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে জেলার সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। নজরে ছিল বাঁকুড়ায় জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে যাওয়া নিয়ে তিনি কী বলেন, সেদিকে। দিন কয়েক আগে বাঁকুড়ার খাতড়ায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের তৈরি একটি জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে। যে ঘটনা তুলে ধরে প্রশাসনিক আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের কড়া ধমকও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ল, তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।এসবের জন্য তিনি ঠিকাদারদের একাংশকে দায়ী করে বলেন, এদের জন্যই রাজ্য সরকারের বদনাম হচ্ছে। এটা আর কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে কড়া আইনের পথে হাঁটবে সরকার। ঠিকাদার সংস্থার সম্পত্তি ক্রোক করা হবে। যে সংস্থাকে নির্মাণের বরাত দেওয়া হয়েছিল, তাদের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে হবে বলে তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দেন।
এনআরসি, এনপিআর নিয়েও ফের সবাইকে সতর্ক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ‘‘কেউ যদি বাড়িতে গিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চায়, দেবেন না। এমনকী আমাদের নাম করে চাইলেও, বের করে দিন বাড়ি থেকে।’’ আগেই তিনি আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন যে সরাসরি না হলে অন্যভাবে সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনপিআর-এর জন্য তথ্য সংগ্রহ করার কাজে নামতে পারে সরকারের ছদ্মবেশি কর্মীরা। তাঁদের থেকে সাবধান করে দেওয়ার জন্য তাঁর এই বার্তা। বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক বৈঠক সেরে মুখ্যমন্ত্রী চলে যান দুর্গাপুর। সেখানে CAA-NRC বিরোধিতায় রাস্তায় নেমে পদযাত্রায় শামিল হন। সঙ্গে ছিল তৃণমূলের জেলাস্তরের নেতৃত্ব, ছিলেন অগণিত কর্মী-সমর্থক, সাধারণ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী হাতে ছিল কাঁসর-ঘণ্টা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.