সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচন ঘিরে এখন সকলের মধ্যেই উদ্দীপনা তুঙ্গে। কে বসবেন মসনদে? কে পাবেন দেশের ভার? ফের কি সিংহাসনে বসবেন মোদি? নাকি এবার প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো? এই নিয়েই এখন চর্চা সর্বত্র। আর ভোটের ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে, পাওয়া-না পাওয়ার তালিকা। কার ঝুলিতে কী ঢুকেছে? হারিয়েছেই বা কী? ভোট বাক্সে নিজের মতামত দেওয়ার আগে এসব নিয়েই জল্পনা করছেন আপামর বাঙালি। একইভাবে পাওনার হিসেব কষে কৌশলে জোড়াফুলেই সম্মতি দিচ্ছে ব্যারাকপুর এলাকার বোধি বিহার৷ তাঁদের হয়ে একথাই জানালেন ভারতীয় সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সন্ন্যাসী ড: অরুণজ্যোতি ভিক্ষু৷
মনে তো প্রশ্ন জাগতেই পারে, সাধুসন্তরা কি ভোট দেন ? তাঁরা তো সংসার থেকে দূরে।যদিও উত্তর রয়েছে হাতের কাছেই। জনপ্রতিনিধি যে গেরুয়াবসন পরিহিত হতে পারেন, তার প্রমাণ কিন্তু মিলেছে উত্তরপ্রদেশেই। একইভাবে ভোটবাক্সে নিজের মতামত প্রকাশেও কোনও আপত্তি নেই বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের। আর তা স্পষ্ট বোঝা গেল বারাকপুর বোধিবিহারেই। বাঙালি বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগুরু শ্যামনগর বোধিবিহারের বিহারাধিপতি কয়েকদিন আগে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। সোমবার বারাকপুর বোধিবিহার মঠে তাঁর শেষকৃত্য উপলক্ষ্যে জড়ো হন ভক্তেরা। সেখান থেকেই দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে সন্ন্যাসী ড: অরুণজ্যোতি ভিক্ষু বলেন, ‘সামনেই নির্বাচন। যা দেশবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা চাইব রাজনৈতিকভাবে দলাদলিতে না গিয়ে মানুষকে স্বাধীনতা দেওয়া হোক। মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেওয়া হোক। তাঁরা নিজেরাই বেছে নেবে তাঁদের সরকার।’
একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দুবছর আগে বুদ্ধ পূর্ণিমায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সেই কারণেই বর্তমান প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ তাঁরা।’ এভাবেই কৌশলের মাধ্যেমে তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে ভোটযুদ্ধে তাঁদের পছন্দ জোড়াফুলই। তাঁর কথায়, ‘এই দেশ ভালোবাসার দেশ, অহিংসার দেশ। তাই কোনওরকম লড়াই নয়, ভালোবাসা দিয়েই জয় করতে হবে সবটা। ভালোবাসতে হবে নিজেকে। ভালোবাসা বিলিয়ে দিতে হবে অন্যদেরও।’ অর্থাৎ ভোটযুদ্ধে বৌদ্ধ সমাজে অনেকখানিই এগিয়ে সবুজ শিবির, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.