Advertisement
Advertisement

Breaking News

BJP

কার হয়ে মাঠে নামবেন, বুঝতেই পারছেন না কর্মীরা! বাংলায় বিজেপির হাল দেখে উদ্বেগ দিল্লিতে

কেন্দ্রীয় নেতারা কাকে বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব দেন, সেদিকে তাকিয়ে গেরুয়া কর্মীরা।

Bengal BJP workers confused about party campaign
Published by: Paramita Paul
  • Posted:April 26, 2025 1:46 pm
  • Updated:April 26, 2025 1:47 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: কেন্দ্রীয় কর্মসূচি সেভাবে দাগ কাটতে পারছে না, আর জেলাভিত্তিক আন্দোলনও ঝিমিয়ে। কোনও কর্মসূচিতেই সেভাবে লোক আসছে না। বাংলায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা কার্যত দ্বিধাবিভক্ত। কোন শীর্ষনেতার ডাকে নিচুতলার নেতা-কর্মীরা ঝাঁপাবেন, কোন লবি ধরবেন তা বুঝে উঠতে পারছে না নিচুতলার নেতা-কর্মীরা। কারণ একটাই, কেন্দ্রীয় নেতারা কাকে বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব দেন, সেদিকে তাকিয়ে গেরুয়া কর্মীরা।

ছাব্বিশের ভোটের আগে দলের আন্দোলনে কর্মীসংকট নিয়ে চিন্তায় রাজ্য বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরাও। আন্দোলনে নামতে কর্মীদের বড় অংশের অনীহা নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের কাছে জেলা থেকে আসা রিপোর্টও এসেছে। যা দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা ও কোন্দলের ছবিকেই সামনে আনছে। এ বিষয়ে রাজ্য নেতাদের কাছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উদ্বেগও প্রকাশ করেছে বলে খবর। দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন ইস্যুতে কর্মসূচিতে স্থানীয় জেলার লোক হচ্ছে না। বাইরের জেলা থেকে কর্মী নিয়ে এসে ভিড় বাড়াতে হচ্ছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও তাঁর একাধিক কর্মসূচিতে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে গাড়ি করে লোক এনেছেন। হাতেগোনা দু-একটি জেলা বাদ দিলে জমায়েতে লোকই আনতে পারছে না গেরুয়া শিবির।

সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও ইস্যুতেই কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্ততা দেখা যাচ্ছে না। বিজেপির একাংশ মনে করছে, সাংগঠনিক রদবদলের প্রভাবই পড়ছে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের ক্ষেত্রে। রাজ্য সভাপতি বদলের সম্ভাবনা প্রবল। সুকান্ত মজুমদারের জায়গায় শমীক ভট্টাচার্যর নাম শোনা যাচ্ছে। মাঝে আবার শোনা গিয়েছিল দিলীপ ঘোষের পাল্লা ভারী। এর মধ্যেই আবার কেউ কেউ বলছেন, সুকান্তকেই আগামী ছাব্বিশের বিধানসভা ভোট পর্যন্ত রেখে দেওয়া হতে পারে। আর তার মধ্যেই দলের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। পুরনোরা মাঠে নামছে না। তাদের বেশিরভাগই দিলীপ ঘোষকে চাইছেন। পুরনোদের মধ্যে একটা অংশের আবার শমীককেও পছন্দ। আবার একাংশ সুকান্তর দিকে। আর আরেকটা অংশ শুভেন্দুর দিকে। তিন থেকে চার শিবিরে বিভক্ত বঙ্গ বিজেপি।

দলের এক প্রাক্তন জেলা সভাপতির কথায়, কার হয়ে কর্মীরা মাঠে নামবেন, সেটাই বুঝতে পারছেন না জেলার নেতা-কর্মীদের বড় অংশ। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অবিলম্বে জানিয়ে দেওয়া উচিত নতুন সভাপতির নাম বা যদি সুকান্ত মজুমদার পদে থেকেও যান সেটাও ঘোষণা করে দেওয়া দরকার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub