অর্ণব দাস, বারাকপুর: তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। ফুল বদল করে ফের ঘরের ছেলে ফিরলেন ঘরে। তৃণমূলে ফিরে এসেছেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। দলবদলের পরদিনই পদ্মশিবির নিয়ে ফের বিস্ফোরক বারাকপুরের ‘বাহুবলী’। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে ‘সন্দেহপ্রবণ’ বলে উল্লেখ করলেন তিনি।
দলবদল করার পরেও বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব তাঁকে তৃণমূলের ‘গুপ্তচর’ হিসেবে ভাবতেন বলেই মনে করা হচ্ছে। অর্জুন সিংয়ের দাবি, সেই কারণেই ফুলবদলের সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, “বঙ্গ বিজেপি সবসময়ই আমাদের সন্দেহের চোখে দেখত। আমরা নামে মাত্র বিজেপিতে ছিলাম। আমাদের বিশ্বাস করত না। আমরা তাদের সাংসদ হয়েছিলাম। দলে তিনটি জেলার দায়িত্ব ছিল। কিন্তু কী হবে না হবে, সে বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞাসাও করা হত না। এত ঝুঁকি নিয়ে বারাকপুরে আমাকে লড়াই করতে হচ্ছিল। দল যখন পাশে দাঁড়াচ্ছে না, তখন বিজেপিতে থেকে লাভ নেই। তাই বাধ্য হয়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম।”
বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে আরও একবার ‘অযোগ্য’ বলেই দাবি বারাকপুরের সাংসদের। অর্জুন বলেন, “যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলাম, তাঁদের চেয়ে ভাল হলে ঠিক আছে। কিন্তু যাঁরা বুথের বি ডবল ও টি এইচ সম্পর্কে কিছু জানেন না, তাঁরা যদি বুথ ও ভোট নিয়ে জ্ঞান দেয় তাহলে মুশকিল আছে। অথচ তাঁরা একসঙ্গে চারটি করে পদ নিয়ে বসে আছে। থাকব ভাটপাড়ায় কাজ দেবে কামারহাটিতে। এলাকার লোক চেনে না। সেটা সম্ভব? বাংলার রাজনীতিতে বাংলার মাটিতে নেমে কাজ করতে হয়।”
এদিকে, দলবদলের পরই তৃণমূলে সক্রিয় অর্জুন। সোমবার সন্ধেয় দলীয় বৈঠকে বসবেন তিনি। বৈঠকে থাকার কথা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসুর। এছাড়াও বৈঠকে থাকতে পারেন বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, আমডাঙার বিধায়ক রফিকুল রহমান, বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী, জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, পাানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ, বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে স্থানীয় সংগঠন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.