সংগ্রাম সিংহ রায় ও অরূপ বসাক: পুজোর আগেই খুলছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম ইন্টিগ্রেটেড পর্যটনকেন্দ্র, মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের গজলডোবার ‘ভোরের আলো’। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। ২০৮ একর জমিতে প্রকল্পটি গড়ে তুলেছে রাজ্যের পর্যটন দপ্তর। পুজোর সময় গজলডোবায় পর্যটকরা সময় কাটাতে পারবে। পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও সৌন্দার্যায়নের কাজ এখনও চলছে। তবে, তৃতীয় পর্যায়ের কাজ বাকি রয়েছে।
কাজের অগ্রগতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক করেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসন, সেচ, পুলিশ, পূর্ত, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, বন, বিদ্যুৎ-সহ একাধিক দপ্তরের আধিকারিকরা। বৈঠকের পর মন্ত্রী বলেন, “পুজোর আগেই মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ভোরের আলোর যাত্রা শুরু হবে। উত্তরবঙ্গ সফরে এলে মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই পর্যটন কেন্দ্রের সূচনা করবেন। এত বড় একটি প্রকল্পকে কীভাবে বাস্তবায়িত করা যায়, তা মুখ্যমন্ত্রী তৈরি করে দেখিয়ে দিলেন। পুজোর সময় পর্যটকরা এই প্রাকৃতিক পর্যটন কেন্দ্রের মজা উপভোগ করতে পাববেন।”
[কোচবিহারে গুলিতে খুন তৃণমূল কর্মী, কাঠগড়ায় বিজেপি]
বৈঠকের পাশাপাশি এদিন বৃক্ষরোপণ করে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালন করেন মন্ত্রী। শিলিগুড়ি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে গজলডোবার পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের আনাগোনা প্রথম থেকেই। ছুটির দিনগুলিতে এখন থেকেই পা রাখার জায়গা নেই। ২০৮ একর জমির উপর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে নষ্ট না করে গড়ে তোলা হয়েছে এই ইন্টিগ্রেটেড পর্যটন কেন্দ্র।
[স্কুলেই ছাত্রীর ‘যৌন নির্যাতন’, অভিযুক্ত শিক্ষককে বেধড়ক মার অভিভাবকদের]
ইতিমধ্যে এই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে দুটি পর্যায়ে প্রায় তিনশো কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি পর্যটকদের রাত্রিযাপনের জন্য উন্নত মানের প্রাকৃতিক কটেজ তৈরি করা হয়েছে। ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্রের কটেজের পাশাপাশি হাওয়া মহলে রাত্রিযাপন করতে পারবেন পর্যটকরা। অনলাইন ও অফলাইন দুটি প্রক্রিয়াতেই কটেজ ও রুম বুকিং করার ব্যবস্থা থাকছে। ফরেস্টের সৌন্দর্য উপভোগ করার ব্যবস্থা থাকছে। ডামডিম পর্যটন কেন্দ্রর উন্নয়ন করার কথা জানিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.