শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: সিল দিয়ে যায় চেনা! ছাত্রীদের কর্বেভ্যাক্স ভ্যাকসিন (Corbevax Vaccine) দেওয়ার আগে হাতে সিলমোহর দিয়ে বিতর্কে স্কুল। অভিভাবকদের অভিযোগে শেষ পর্যন্ত হাত থেকে সিল মুছে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরপর লাল দাগ লাগিয়ে দেবেন বলে জানায় তারা। তবে তাতে আপত্তি করেন অভিভাবকরা।
সোমবার থেকে রাজ্যজুড়ে বারো থেকে চোদ্দো বছর বয়সি কিশোর-কিশোরীদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য আলাদা করে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুলে এদিন সকাল থেকে ছাত্রীদের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হয়।
ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রথমে লাইনের ব্যবস্থা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রথমে নাম রেজিষ্ট্রেশন। এরপর ছাত্রীদের হাতে স্কুলের সিলমোহর লাগিয়ে দেওয়া হয়। সিলমোহর লাগানো হাত দেখানোর পরই দেওয়া হয়েছে ভ্যাকসিন। স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কারা কারা ভ্যাকসিন পাবে, তা আলাদা করে চিহ্নিত করতেই সিলমোহরের ব্যবস্থা।
তাতেই আপত্তি তুলেছেন অবিভাবকেরা। তাঁদের বক্তব্য, ছাত্রীরা হাটে বিক্রির জন্য আসা কোনও প্রাণী বা জেলের আসামি নয় যে তাদের হাতে সিল লাগিয়ে দিতে হবে। পরে জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় এবং ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া পালের নজরে আসামাত্রই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নিবেদিতা সাহার সঙ্গে কথা বলেন।
প্রধান শিক্ষিকার বক্তব্য, প্রশাসনের তরফে তাদের যেমন জানানো হয়েছে তেমনই করেছেন। যদিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত সদর মহকুমা শাসক সুদীপ পাল প্রধান শিক্ষিকার এই দাবিকে সমর্থন করেননি। পরে চেয়ারম্যান পাপিয়া পালের হস্তক্ষেপে ছাত্রীদের হাতে আর সিল লাগানো হবে না। পরিবর্তে হাতে লাল দাগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি। তাতেও আপত্তি তুলেছেন অবিভাবকেরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.