শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: করোনা (Corona Virus) প্রাণ কেড়েছে বন্ধু, চন্দননগরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দেবদত্তা রায়ের (Debdutta Roy)। তাঁর লড়াইকে কুর্নিশ জানাতে প্রয়াত করোনা যোদ্ধার নামে বাংলোর নামকরণ করলেন মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ ১ নম্বরের বিডিও।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম থেকেই শামিল ছিলেন ২০১১ ব্যাচের ডব্লিউবিসিএস (WBCS) অফিসার দেবদত্তা রায়। ভিন রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গের ডানকুনি স্টেশনে নামা পরিযায়ী শ্রমিকদের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই সংক্রমিত হয়ে পড়েছিলেন। এরপর চিকিৎসা চললেও শেষরক্ষা হয়নি। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই করোনা যোদ্ধা। দীর্ঘদিনের বন্ধু-সহযোদ্ধার এই পরিণতির পরই তাঁর লড়াইকে কুর্নিশ জানাতে দেবদত্তা রায়ের নামে বাংলোর নামকরণের সিদ্ধান্ত নেন রঘুনাথগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সৈয়দ মাসিদুর রহমান (Syed Masidur Rahaman)। তাঁর কথায়, “করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রথম সারির যোদ্ধা ছিল দেবদত্তা। ওর লড়াই আমাদের অনুপ্রেরণা।’’ স্মৃতি রোমন্থন করে তাঁদের বন্ধুদের দিনগুলিতে ফিরে যান মাসিদুর রহমান। বলেন, “প্রত্যেক ব্যাচেই দীর্ঘ সময়ের প্রশিক্ষণ হয়। ফলে কম-বেশি সকলের সঙ্গেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়। ওর সঙ্গেও নিবিড় বন্ধুত্ব ছিল।”
কিন্তু বাংলো তো সরকারি। এক দিন অন্যত্র বদলি হয়ে যাবে বেহালার (Behala) মাসিদুর। তখন কী হবে? পরবর্তীতে তো বদলে যেতেই পারে এই নাম। ওই বিডিওর কথায়, “এখানে নতুন যিনি আসবেন, তিনি বাংলোর নামকরণ নিয়ে প্রশ্ন করবেন। তখনই দেবদত্তার কথা আসবে, তাঁর লড়াই আসবে। এভাবেই ও সকলের মধ্যে থাকবে।” প্রসঙ্গত, দেবদত্তা রায়ের মৃত্যুর পর রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকে একটি স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই প্রয়াত করোনা যোদ্ধার নামে বাংলো নামকরণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিডিও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.