বাবুল হক, মালদহ: কাঁচা, এবড়োখেবড়ো রাস্তায় অ্যাম্বুল্যান্স ঢুকতে পারেনি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে খাটিয়ায় শুইয়ে অসুস্থ তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু। মালদহের (Maldah) বামনগোলার মালডাঙা গ্রামের এই ঘটনা ঘিরে যখন শনিবার দিনভর উত্তপ্ত এলাকা। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রাস্তা তৈরির দায় কার? এই প্রশ্ন নিয়ে যখন শোরগোল রাজ্য রাজনীতি সেসময়ই জনরোষের চাপে দ্রুত রাস্তা (Road Construction) তৈরির আশ্বাসে লিখিত মুচলেকা দিল স্থানীয় প্রশাসন। সেখানকার বিডিও ও আইসি-র লিখিত প্রতিশ্রুতি, আগামী ৩ মাসের মধ্যেই রাস্তা তৈরি হয়ে যাবে।
মালদহের বামনগোলার গোবিন্দপুর মহেশপুর অঞ্চলের মালডাঙা গ্রামের বাসিন্দা মামনি রায়। দিনকয়েক ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। জ্বর হয়েছিল। শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকলে মামনিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় শনিবার। বাড়ি থেকে প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার দূরের মোদিপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করার পরিকল্পনা করে পরিবার। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) পাওয়া যায়নি। কালবিলম্ব না করে খাটিয়ায় মামনিকে শুইয়েই হাসপাতালের দিকে রওনা দেন তাঁর স্বামী। কিন্তু যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় মামনির।
এই ঘটনার পর রাস্তা সংস্কারের দাবিতে শনিবার সকাল থেকে নালাগোলা রাজ্য সড়কের কলোনি এলাকায় অবরোধ নেমেছিলেন গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি বুঝে সেখানে ছুটে যান বিডিও রাজু কুণ্ডু ও আইসি শংকর সরকার। তাঁরা প্রতিশ্রুতি দেন, আগামী ৩ মাসের মধ্যে রাস্তা তৈরি হয়ে যাবে। তাঁদের লিখিত মুচলেকা দিতে বলা হয়। তাতে লেখা হয়েছে, “আগামী তিন মাসের মধ্যে গঙ্গাপ্রসাদ কলোনি থেকে মালডাঙা গ্রাম পর্যন্ত যে রাস্তা খারাপ অবস্থায় রয়েছে, তার কাজ শুরু হবে।” প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি কতদিন পূরণ হয়, সেদিকে অবশ্যই নজর থাকবে সকলের। কিন্তু এর পরও প্রশ্ন থাকছে, নিজের প্রাণ দিয়ে প্রশাসনের হুঁশ ফেরাতে হল কেন উনিশ বছরের মামনিকে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.