সৌরভ মাজি, বর্ধমান: আমফানের (Amphan) ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে বলে বারবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগের আঙুল। তবে এবার বিডিওর তৈরি করা তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পূর্ব বর্ধমানের কালনা ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় নথিভুক্ত অন্তত ১৫ জনের নাম নিয়ে আপত্তি রয়েছে তাঁর। এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে মহকুমা শাসককে চিঠিও লিখলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।
তৃণমূল পরিচালিত কালনা ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নীলিমা কপ্টির দাবি, “আমফানের ত্রাণ কে পাবেন তা ব্লক প্রশাসন খতিয়ে দেখছে। তা নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। তবে তা সত্ত্বেও আমাকে না জানিয়েই ব্লক প্রশাসনিক আধিকারিকরা বাড়ি বাড়ি ঘুরেছেন। বিডিও তালিকাও তৈরি করে ফেলেছেন। ওই তালিকায় থাকা অন্তত ১৫ জনকে নিয়ে আমার আপত্তি রয়েছে। আমার মতে তাঁরা ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য নন। তবু তা সত্ত্বেও বিডিও সেকথা মানতে চান না। আমাকে না দেখিয়ে তৈরি করা তালিকায় সই করার জন্য চাপ দিচ্ছেন।” তবে ওই তালিকায় সই করেননি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। পরিবর্তে তালিকাটি আরও একবার খতিয়ে দেখার দাবিতে মহকুমা শাসককে চিঠিও লিখেছেন তিনি।
যদিও বিডিও মিলন দেবঘরিয়া সভাপতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, “সরকারি আধিকারিকরা এক একটা পঞ্চায়েতভিত্তিক এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি বাড়ি ঘুরেছেন। সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছেন। তারপরই ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করেছেন। এখন তালিকা তৈরি হওয়ার পর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ১৫ জনের নাম অকারণে নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন। এরকম করলে কীভাবে চলবে?”
তবে এই প্রথমবার নয়। এর আগেও বিডিও’র সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। বিডিও’র বিরুদ্ধে ধরনাতেও বসেছিলেন তিনি। আবারও সেই সংঘাতে জড়ালেন তাঁরা। এদিকে, বিডিও’র সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সংঘাতের জেরে আপাতত ক্ষতিপূরণে অর্থ বিলি আটকে রয়েছে। তার ফলে সমস্যায় পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। যদিও প্রশাসনিক সূত্রে খবর, প্রয়োজনে সভাপতিকে বাদ দিয়েই ত্রাণ বণ্টনের ব্যবস্থা শুরু হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.