টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: সকালে বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন করেছিলেন। রাতে মামা ও বন্ধুদের সঙ্গে নিজেই গাড়ি চালিয়ে দিঘা রওনা দিয়েছিলেন অণ্ডালের যুবক অভিজিৎ কুণ্ডু। কিন্তু, গভীর রাতে ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বাঁকুড়া ওন্দায় ৬০ জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্পারের সঙ্গে ধাক্কায় দুমড়ে-মুছড়ে গেল গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মারা গেলেন মামা-ভাগ্নে। গুরুতর আহত অবস্থায় গাড়ির বাকি চার আরোহী ভরতি বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয়েছে কলকাতায়।
[বই ভাগ করে ব্যাগের ভার কমাবে রাজ্য, প্রাথমিকে সিলেবাস বদলের ভাবনা]
জানা গিয়েছে, মৃত অভিজিৎ কুণ্ডু পেশায় ব্যবসায়ী। স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডালে। মঙ্গলবার ছিল অভিজিতের জন্মদিন। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, সকালে অণ্ডালের বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন করেছিলেন অভিজিৎ। রাতে দুর্গাপুরে মামার বাড়িতে যান তিনি। সেখান থেকে মামা ও কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে গাড়ি করে দিঘা যাচ্ছিলেন অভিজিৎ। তিনি নিজেই গাড়ি চালাচ্ছেন। গাড়িতে ৬ জন ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে বাঁকুড়ায় ওন্দায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকায় একটি ডাম্পারে ধাক্কা মারে গাড়িটি। এতটাই জোরে ধাক্কা লাগে, যে গাড়ি দুমড়ে মুছড়ে গিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে গাড়ি থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অভিজিৎ কুণ্ডু ও তাঁর মামা তপন ঘোষালকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাকি চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, দু’জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের কলকাতায় পাঠানো হয়েছে।
কিন্তু, কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রতি রাতে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধার সার দিয়ে ট্রাক ও ডাম্পার দাঁড়িয়ে থাকে। তার উপর জাতীয় সড়কের যে জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে রাস্তা বেশ সরু। রাতের অন্ধকারে সম্ভবত রাস্তার পাশে যে ডাম্পার দাঁড়িয়ে থাকে, তা টের পাননি গাড়ির চালক। বাঁক নিতে গিয়ে সোজা ডাম্পারটিকে ধাক্কা মারেন তিনি।
[লটারিতে কোটিপতি দুই বন্ধু, টিকিট বিক্রেতাও লাখপতি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.