ফাইল ছবি।
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক সভাস্থল নিয়ে জট। বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা (বিডিএ) গোদার স্বাস্থ্য নগরীর মাঠ ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়ায় বেলাগাম বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী ওই মাঠে সভা করেছেন আগে তাহলে প্রধানমন্ত্রীর সভা করতে পারবেন না কেন?
আগামী ৩ মে বর্ধমানে নির্বাচনী সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। প্রাথমিকভাবে বিজেপির তরফে গোদার এই মাঠ ও তালিতে সাই কমপ্লেক্স মাঠের কথা ভাবা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জায়গায় আবেদনও করা হয়। কিন্তু গোদার মাঠে সভা করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিডিএ। সোমবার এই খবর পেয়ে গোদার মাঠে যান দিলীপ ঘোষ। এই মাঠেই কয়েকবার প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়ে নজিরবিহীনভাবে আক্রমণ করেন রাজ্যের শাসকদলকে। তিনি বলেন, “লেখা হয় প্রশাসনিক বৈঠক। আর উনি প্রধানমন্ত্রীকে গালাগালি করেন। ওটা কি ধরনের প্রশাসনিক বৈঠক? এইসব ঘোমটার আড়ালে খেমটা করছেন আমরা জানি না। কী করছেন ওঁরা? কে মাথায় বসে আছে? সেই জন্য এই ধরনের কানুন করে সবই আপনারা করে নেবেন আর আমাদের বেলায় আইন দেখাবেন। আমরাও এর জবাব দেব।”
মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ জানান, গোদার মাঠের জন্য বিডিএ-এর কাছে আবেদন করা হয়েছিল। ওরা জানিয়েছে মাঠ দেওয়া যাবে না। বিডিএকে নিশানা করে দিলীপ বলেন, “যেহেতু সরকারের লোক বসে আছেন মাথার উপরে। সরকারের প্রতি আনুগত্য আছে। মুখ্যমন্ত্রীর যে কোনও একটা ব্যানার লাগিয়ে দিয়ে আপনার পার্টির লোককে ডেকে বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রী থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে গালাগালি দেবেন এটা কr ধরনের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বৈঠক। আমরা আমাদের বক্তব্য রাখব। এটা কি কারও বাপের সম্পত্তি না কি। সরকারি সম্পত্তি। কোনও একটা কোম্পানি লিজ পেয়েছে। ওদের অধিকার নেই। উনি মাথায় বসে আছেন নৈবদ্যর লাড্ডু হয়ে। ওনারা রাজনীতি করবেন সবার আগে। আর বিজেপি করতে গেলে তখন আইন দেখাবেন।” তৃণমূল নেত্রী মাঠ পেলে বিজেপি নেতা কেন পাবেন না, প্রশ্ন দিলীপের।
কোর্টে যাবেন কি না প্রশ্নে বিজেপি প্রার্থী বলেন, “সেই জন্যই আমাদের বার বার কোর্টে যেতে হয়েছে আগে। এক্ষেত্রেও সেটাই করতে হবে কি না দেখতে হবে। দলে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।” বিডিএ চেয়ারপার্সন তথা বর্ধমান-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি কাকলি তা গুপ্ত বলেন, “ওখানে কোনও রাজনৈতিক সভা হয় না। মুখ্যমন্ত্রী এখানে প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন। সেটা সরকারি অনুষ্ঠান। একটা রাজনেতিক সভার অনুমতি দিলে অন্যরাও তখন সেখানে রাজনৈতিক সভার জন্য চাইবে।” প্রশাসনিক বৈঠক নিয়ে দিলীপ ঘোষের ভাষা ব্যবহার নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। বিডিএ চেয়ারপার্সন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভা থেকে গালাগালি করেন না। বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা বলেন। দিলীপ ঘোষ আগে জবাব দিন বাংলার প্রতি বঞ্চনা কেন, বিমাতৃসুলভ আচরণ কেন?
শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী সভা কোথায় হয় এখন সেটাই দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.