জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: আপাতদৃষ্টিতে শান্ত, ভদ্র, নম্র। পড়াশোনা জানা। এহেন যুবকই নাকি লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। একথা জানার পর থেকেই যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত হয়েছে বসিরহাটের (Basirhat) দক্ষিণ বাগুন্ডি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাকের পরিবারে। ঘরের ছেলেই যে জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে, তা বিশ্বাসই করতে পারছেন না তাঁরা।
আব্দুর আহমেদাবাদ বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে বাংলাদেশ পার করতে লিংকম্যান হিসেবে সহযোগিতা করেছিল আব্দুর রাজ্জাক গাজি। বছর আটত্রিশের রাজ্জাক বসিরহাটের শাকচূড়া বাগুন্ডি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বাগুন্ডি গ্রামের বাসিন্দা। গত মঙ্গলবার আহমেদাবাদ পুলিশের পাঁচজনের একটি দল দণ্ডিরহাট বাজারে আসে। সেখান থেকেই রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করেন পুলিশকর্মীরা। গত বুধবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয় তাকে। এরপর তাকে আহমেদাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাজ্জাকের স্ত্রী রয়েছেন। তাঁর দাবি, “২০০৬ সালে বিয়ে হয়। প্রায় ১৪ বছরের সংসার। ইতিমধ্যে কোনও অসামাজিক কাজে রাজ্জাককে জড়াতে দেখিনি। নিজের ব্যবসা নিয়েই থাকে। আবার কখনও কখনও শ্রমিকের কাজও করতে যায়।” তাঁর দাবি, “আমার স্বামীকে চক্রান্ত করে কেউ ফাঁসিয়ে দিয়েছে।” শুধু রাজ্জাকের স্ত্রী নয়, গ্রামবাসীদের বিশ্বাস রাজ্জাক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে না। তাঁদের বিশ্বাস, প্রকৃত তদন্ত হলে রাজ্জাক যে নির্দোষ তা প্রমাণ হবে। প্রমাণ হবে যে কেউ তাকে ফাঁসিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.