গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: খাতায় কলমে স্কুল আছে, পড়ুয়া আছে, শিক্ষকও আছে। বাস্তবে নেই ক্লাস রুম, রান্নার জায়গা। বছরের পর খোলা আকাশের নিচেই চলছে ক্লাস। রান্না হচ্ছে ত্রিপলের নিচে। এই ছবি বসিরহাটের (Basirhat) সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের। প্রশাসনের পদক্ষেপের অপেক্ষায় স্থানীয়রা।
বসিরহাটের সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েতের পূর্ব মামুদপুর গ্রামের ৭ নং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কোনও ঘর নেই। তবে পড়ুয়া ৪২ জন। রাস্তার পাশে কোনক্রমে একটি ত্রিপল ঝোলানো। তার নিচে চলে রান্না। ক্লাসের জন্য ত্রিপলও নেই। খোলা আকাশের নিচে বসেই বছরের পর বছর চলছে পড়াশোনা। শীত, বর্ষা বা গ্রীষ্মকালে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েন শিক্ষিকা-পড়ুয়া সকলেই। গ্রীষ্মকালের তীব্র দাবদাহের মধ্যেও বাচ্চারা সেখানে পড়াশোনা করে। বর্ষাকালে বৃষ্টির সঙ্গে থাকে সাপ, ব্যাঙ ও নানান পোকার উৎপাত।
রাস্তার পাশে লেখাপড়ায় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার একটা ভয় থাকেই। এছাড়া রাস্তা দিয়ে গাড়ি গেলে প্রচুর পরিমানে ধুলোও ওড়ে। যা মেশে খাবারে। ফলে পেটের সমস্যায় ভোগে কচিকাঁচারা। এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বলেন, “যেখানে সরকার বলছে পরিচ্ছন্নতার কথা, সেখানে রাস্তার পাশে রান্না হচ্ছে।” এলাকাবাসীদের অনেকেই জানান, পড়াশোনার পরিকাঠামো নেই সেজন্য শুধুমাত্র বাচ্চাদের বরাদ্দ খাবার নিতে যান অনেকে। রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নিচে বাচ্চাদের পাঠাতে সাহস পান না তাঁরা। এ বিষয়ে হিঙ্গলগঞ্জের উপপ্রধান আবদুল লতিফ গাজি বলেন, “স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দূরবস্থার কথা আমরা শুনেছি। দ্রুত এর সুরাহা করব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.