আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: ভোট প্রচারে বেরিয়ে নাম সংকীর্তন করলেন বারাকপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদী। সোমবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি শহরের ১ নম্বর বিজয়নগর এলাকায় যান প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী। সেখানে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোটের প্রচার করার ফাঁকেই ঢুকে পড়েন একটি আশ্রমে। সেখানে তখন নাম সংকীর্তন করছিলেন ওই আশ্রমের ভক্তরা। বিষয়টি দেখে বারাকপুরের বিদায়ী সাংসদও সঙ্গে সঙ্গে যোগ দেন তাতে। হাতে খোল তুলে নিয়ে মেতে ওঠেন নাম সংকীর্তনে। কপালে তিলক ও গলায় রজনীগন্ধার মালা পরে উপস্থিত মানুষজনের সঙ্গে হরিনামও করলেন অনেকক্ষণ। যা দেখে আপ্লুত স্থানীয় বাসিন্দারা।
তবে এই প্রথম নয়, নাম সংকীর্তনে অংশ নিতে আগেও দেখা গেছে বারাকপুরের গত দু’বারের সাংসদকে। কয়েকদিন আগে ভোট প্রচারে বেরিয়ে কীর্তনে শামিল দেখা গিয়েছিল বারাসতের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারকেও। এবার একই ছবি চোখে পড়ল বারাকপুর লোকসভার কেন্দ্রের অন্তর্গত নৈহাটিতে৷
এদিকে এই নাম সংকীর্তনের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বিদ্রুপ করছে বিরোধীরা। তাঁদের কথায়, ভোট বড় বালাই। তাই ভোট এলেই রূপ বদলে যায় অনেকের। সারাবছর ধরে জনবিচ্ছিন্ন থাকলেও ভোটের সময় সাধারণ মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। কেউ অন্যের বাড়ির বাসন মাজার কথা বলেন, তো কেউ পা ধুইয়ে দেন সাফাই কর্মীদের। কেউ কেউ তো আবার ভোটারের রান্নাঘরে ঢুকে শাকসবজি কাটতে লেগে পড়েন। আবার কেউ মাঠে নেমে কাটেন গম। সারাবছর ধরে মানুষের পাশে না দাঁড়ালেও ভোটের সময় তাঁদের আপনজন হওয়ার প্রচেষ্টায় মেতে ওঠেন প্রায় সবাই।
[আরও পড়ুন-রাজ্যের মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে একাধিক হুমকি পোস্টার, শিমুরালিতে চাঞ্চল্য]
কেউ কেউ বলছেন, গত দু’বার দীনেশ ত্রিবেদীর ভোট ম্যানেজারের দায়িত্ব সামলানো অর্জুন সিং দলবদল করে বর্তমানে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। তাই চাপ বেড়েছে তৃণমূল প্রার্থীর উপর। পাশাপাশি রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণেরও অভিযোগ উঠেছে বারবার। সেইসব প্রচারের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করতেই বিভিন্ন জায়গায় নাম সংকীর্তনে মেতে উঠছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার, দীনেশ ত্রিবেদীর মতো তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.