অর্ণব দাস, বারাসত: ফ্ল্যাটে মজুত রয়েছে লক্ষাধিক টাকা। এমনই খবর ছিল বারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে। সেইমতো অভিযান চালিয়ে খড়দহ নাথুপাল ঘাট রোড এলাকার শিরোমণি আবাসনের অমিতাভ দাসের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৩২লক্ষ টাকা উদ্ধার করল গোয়েন্দারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিপুল টাকার কোনও হিসেব অমিতাভ দেখাতে পারেননি। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টাকার বিনিময়ে তিনি পড়ুয়াদের ভর্তি করাতেন। এই টাকার সঙ্গে তার কোন যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এবিষয়ে বারাকপুর কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, উদ্ধার হওয়া টাকার উৎস কি তা এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়দহ নাথুপাল ঘাট রোড এলাকার শিরোমণি আবাসনের একতলার একটি ফ্ল্যাটে বিগত আড়াই বছর ধরে থাকেন অমিতাভ দাস। পরিবারে তার স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছে। এক সময় তিনি প্রাইভেট পড়াতেন। এখন তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মূলত দক্ষিণ ভারতে ইঞ্জিনিয়রিং, ফার্মা সহ নানান বিষয়ে পড়ুয়াদের ভর্তি করান। এর বিনিময়ে তিনি টাকাও নেন বলেও অভিযোগ। ডানলপে তাঁর একটি অফিসও রয়েছে। যদিও প্রতিবেশীরা জানতেন অমিতাভ একজন প্রফেসর। গোপন সূত্রে বারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা খবর পার তার এই ফ্ল্যাটে বিপুল পরিমাণ টাকা রয়েছে। এরপরই বৃহস্পতিবার রাতে অমিতাভর ফ্ল্যাটে হানা দেয় গোয়েন্দারা। রাতভর চলে চিরুনি তল্লাশি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তল্লাশি চালানোর পর উদ্ধার হয় প্রায় ৩২লক্ষ টাকা। এবিষয়ে প্রতিবেশী অরুণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাতে ওই ফ্লাট থেকে আওয়াজ শুনতে পাই। সকালে উঠে দেখি পুলিশের গাড়ি বাইরে দাঁড়িয়ে। পরে জানতে পারি রাত থেকেই পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। উনি প্রফেসর বলে জানি। তবে কি কারণে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে বলতে পারবো না।” এখন শিক্ষা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনা সামনে এসেছে। এরসঙ্গে এদিনের টাকা উদ্ধারের ঘটনা জড়িত রয়েছ কি না তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.