আকাশনীল ভট্টাচার্য: ফুলশয্যার রাতেই নববধূকে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ব্যারাকপুর মহকুমা এলাকায়। অভিযোগ, বেবি ঢালি নামে ওই নববধূকে গলা টিপে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় আটক করা হয়েছে বধূর শ্বশুর, ভাসুর ও স্বামীকে। শাশুড়ি ও জা পলাতক।
[অভিভাবকদের চাপে ‘অপসারিত’ প্রিন্সিপাল, বৃহস্পতিবারই খুলছে জি ডি বিড়লা স্কুল]
মাস ছ’য়েক আগে দেখাশোনা শুরু হয় ইছাপুরের বাসিন্দা শুভঙ্কর ও কাউগাছির বাসিন্দা বেবি ঢালির। পেশায় গাড়ি চালক শুভঙ্করকে পছন্দ হয়ে যায় বেবির বাড়ির। ৪ ডিসেম্বর বিয়ে হয় দু’জনের। বুধবার ছিল বউভাত। বেবির বউদি সুজাতা ঢালির অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়েই বউভাতে হাজির হয় কন্যা যাত্রীর দল। সকলেই বেবির সঙ্গে ছবি তুলতে চেয়েছিলেন। এই হুড়োহুড়িতে ঘরের একটি ফুলদানি ভেঙে যায়। এতে শুভঙ্করের দাদা দীপঙ্করের স্ত্রী মৌমিতা খুবই বাজেভাবে অপমান করেন কন্যা যাত্রীদের। সুজাতাকেও প্রচুর কথা শোনান। তবে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি বলে অপমান সহ্য করেই রাত একটা নাগাদ বাড়ি চলে আসেন সকলে। পরদিন সকাল ন’টা নাগাদ বেবির সঙ্গে কথাও হয়।
কিন্তু এগারোটা নাগাদ একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনে কোনও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি জানায়, একটি ঘটনা ঘটে গিয়েছে। বেবির শরীর বেশ খারাপ। তাঁকে বিএন বোস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর শুনেই বেবির বাড়ির লোকেরা প্রথমে শ্বশুরবাড়িতে আসেন। সেখানে কেউ ছিল না। এরপর তাঁরা হাসপাতালে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন বেবির মৃত্যু হয়েছে।
[পণের দাবিতে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, কাঠগড়ায় পুলিশ আধিকারিক
সুজাতার অভিযোগ, বেবির মৃত্যুর জন্য তাঁর সদ্য হওয়া শ্বশুরবাড়ি দায়ী। বিশেষ করে শুভঙ্করের বউদি মৌমিতা। শুভঙ্করের সঙ্গে তাঁর বউদির অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। বেবির বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে শুভঙ্কর ও তাঁর বাবা দুলালকে আটক করা হয়। পরে ভাসুর দীপঙ্কর ঘটনাস্থলে এলে বেবির আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা তাঁকে ব্যাপক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক বেবি শাশুড়ি ও জা। দু’জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.