সৌরভ মাজি, বর্ধমান: নতুন জেলার সঙ্গেই পথ চলা শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ‘মিষ্টি হাব’-এর। বাংলা নববর্ষের আগে বর্ধমানের মানুষের জন্য এ যেন ডবল বোনানজা। তবে এতেই সন্তুষ্ট নন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। দাবি রয়েছে মিষ্টান্নপ্রিয় জেলাবাসীরও। সকলে চাইছেন বর্ধমানের বামচাঁদাইপুরে গড়ে ওঠা এই মিষ্টি হাবের ‘গ্র্যান্ড ওপেনিং’ হোক। আর সেই মিলন-উৎসবে থাকুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁরা বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যেদিন সময় দেবেন সেদিনই জাঁকজমক করে ফের অনুষ্ঠান করা হবে। কারণ, এই মিষ্টি হাব তৈরির অনুপ্রেরণা তিনিই দিয়েছেন।
[বিক্রি হল বিলাসবহুল কিংফিশার ভিলা, কে কিনলেন জানেন?]
আড়াই কোটি টাকার বেশি খরচ করে গড়ে উঠেছে এই মিষ্টি হাব। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে গড়ে ওঠা এই মিষ্টি হাবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন সামগ্রী তৈরি করা হবে৷ তার পর তা বিশ্ব বাংলার ব্র্যান্ডে বাজারজাত করা হবে৷ বর্ধমানের সীতাভোগ-মিহিদানা, কাটোয়ার পরানের পান্তুয়া, শক্তিগড়ের ল্যাংচার মতো জিভে জল আনা নামকরা মিষ্টি মিলবে এই হাবে।
[NRS-এর ডাক্তারদের উদ্যোগ, ক্যানসার নিয়েই ফ্যাশন শোয়ে শিশুরা]
বর্ধমানে নতুন জেলার যেদিন উদ্বোধন হয়, একই সঙ্গে সেই অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে উদ্বোধন করা হয় বর্ধমানের মিষ্টি হাবের। এ যেন অনেকটা ‘গৃহপ্রবেশের’ মতো। পুজো করা হয়৷ বামচাঁদাইপুরে দোকান খুলে কারবারও শুরু করেন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না। তাই খানিকটা মন খারাপ তাঁদের। এরপরই মাথায় আসে গ্র্যান্ড ওপেনিংয়ের ভাবনা। মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সহসচিব আশিস পাল বলেন, “আমরা চাইছি মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়েই মিষ্টি হাবের গ্র্যান্ড ওপেনিং করাতে৷ আগামী রথের দিনটা প্রাথমিকভাবে বাছা হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে৷ তিনি সময় দিতে পারলে ওইদিন করা হবে৷ না হলে তিনি যেদিন সময় দিতে পারবেন সেদিনই হবে৷” আপাতত মিষ্টি হাবে ইণ্টিরিয়র ডেকরেশনের কাজ চলছে৷ আরও টুকিটাকি কিছু কাজ বাকি রয়েছে। খুব তাড়াতাড়িই সেসব শেষ করা হবে।
[সব ছবিতে ইভটিজিং দিয়েই শুরু হয় রোম্যান্সের দৃশ্য, কটাক্ষ মানেকার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.