Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bardhaman teacher

‘দাবাং’ মেজাজে ইনসাস রাইফেল হাতে নিয়ে ছবি, তুমুল সমালোচিত বর্ধমান স্কুলের শিক্ষক

যে হাতে চক-ডাস্টার থাকার কথা, সে হাতে বন্দুক কেন? উঠছে প্রশ্ন।

Bardhaman teacher faces heat for posing with INSAS rifle | Sangbad Pratidin
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:July 27, 2021 8:54 am
  • Updated:July 27, 2021 8:54 am  

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: যে হাতে চক-ডাস্টার থাকার কথা, সেই হাতেই তুলে নিয়েছিলেন অত্যাধুনিক ইনসাস রাইফেল (INSAS rifle)। হাসিমুখে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়েছিলেন বর্ধমান (Bardhaman) মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ পাল। তাতেই বিপাকে পড়েছেন তিনি। কেন একজন শিক্ষক হয়ে এমন ছবি তুলেছেন? এই প্রশ্নই উঠছে।

বর্ধমানের অন্যতম সেরা স্কুল বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল। তারই প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ পাল। কয়েকদিন আগে স্কুলের শিক্ষকদের গ্রুপে নিজেই বন্দুক হাতে তোলা ছবিটি পোস্ট করেন। তারপর থেকেই বন্দুকধারী শিক্ষকের ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। যা নিয়ে স্কুলের প্রাক্তনী থেকে শিক্ষক মহল নিন্দায় সরব হয়েছে। একজন প্রধান শিক্ষকের এই ধরনের ছবি শোভা পায় না বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।

Advertisement

Bardhaman teacher faces heat for posing with INSAS rifle

[আরও পড়ুন: সাত মাসে ১৭৪ বার অ্যাকাউন্ট থেকে উঠেছে টাকা, জানেনই না গ্রাহক, অভিনব প্রতারণা বর্ধমানে]

সাধারণত সেনা জওয়ান কিংবা আধা সামরিক বাহিনীর হাতেই ইনসাস রাইফেল দেখা যায়। তা বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষকের হাতে কীভাবে এল? সেই প্রশ্নও উঠছে। বন্দুক হাতে আবার স্কুল প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়েই পোজ দিয়েছেন বিশ্বজিৎ পাল। অনেকে মনে করছেন, ভোটের সময় স্কুলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও জওয়ানের থেকে হয়তো নিয়ে ছবি তুলেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই বিষয়টি পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ও পুলিশের নজরে এসেছে। তারাও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি অচিন্ত্য চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি ছবিটি কয়েকদিন আগেই পেয়েছেন। বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি তাঁরাও পুলিশকে জানাবেন তদন্ত করার জন্য। পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশ্বজিৎবাবুর সঙ্গে সোমবার রাতে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে এই শিক্ষক স্কুলের একটি গাছ মারা যাওয়ায় ‘খুনের’ অভিযোগ করেন পুলিশে। তারপর স্কুলের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কে জড়ান। যা নিয়ে স্কুলের সুনাম নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ করেন প্রাক্তনীদের একটা বড় অংশ।

[আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুবতীর সঙ্গে সহবাস-টাকা আদায়! ‘ভুয়ো’ সাংবাদিককে গণধোলাই জনতার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement