স্টাফ রিপোর্টার, বারাসত: আলাপ-পরিচয় ও প্রেমপর্বের পর প্রায় সাত বছর ধরেই মনুয়ার বায়নাক্কা মেটাতে গিয়ে প্রায় ফতুর হওয়ার অবস্থা হয়েছিল অনুপমের৷ অনুপমের সঙ্গে আলাপের পর থেকেই বিলাসব্যসনে বদলে গিয়েছিল মনুয়ার বাপের বাড়ি৷ হাবে-ভাবে পাড়াপড়শিদের সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি হয়েছিল ওঁদের পরিবারের৷ মনুয়া চাইত, বাবার মতোই হোক অনুপম৷ তাই যখন যা চাইবে, দিতে হবে অনুপমকে৷ পুলিশ জেনেছে, ২০০১ সালে বাংলাদেশ থেকে এদেশে চলে আসেন অনুপম সিংহ৷ বারাসতের বিভিন্ন জায়গায় থাকতে শুরু করেন৷ ২০১০ সালে মনুয়া মজুমদারের মেসোমশাইয়ের কৈলাসনগরের বাড়িতে থাকেন৷ সেখানেই মনুয়ার সঙ্গে আলাপ৷
তারপরই মনুয়াদের হৃদয়পুরের বাড়িতে দু’টি এসি মেশিন লাগানো হয় বলে স্থানীয়দের দাবি৷ পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, নানা ‘প্রেমিক’-এর সঙ্গে সম্পর্ক রাখত মনুয়া৷ অনুপমের সঙ্গে কথাবার্তা নিয়ে কোনও প্রমাণ না রাখতে তাঁর ফোন নষ্ট করতে বলেছিল অশোকনগরের ‘প্রেমিক’ অজিতকে৷ অজিত যে বিবাহিত, সেকথা জানত না বলেও পুলিশকে জানিয়েছে সে৷ এদিকে, অনুপমের বাবা জগদীশ সিংহ খুনিদের শাস্তি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান৷ জগদীশবাবুর বয়স ৭০-এর কাছাকাছি৷ তাঁর স্ত্রীও নিয়মিত বাংলাদেশ থেকে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন৷ ছেলের আচমকা মৃত্যুর খবরে তিনি এতটাই মানসিক আঘাত পেয়েছেন যে মাঝে মাঝেই মোবাইল থেকে ছেলের নম্বরে ফোন করছেন৷ হুঁশ ফিরতেই আবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন৷ খুনিদের শাস্তির দাবিতে তাঁর পাড়াতে মোমবাতি জ্বালানোও হয়েছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.